বঙ্গবন্ধুর খুনি আজিজ পাশাকে 'মরণোত্তর' চাকরি দিয়েছিল খালেদা জিয়া

সময় ট্রিবিউন | ৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১৯

সজীব ওয়াজেদ জয়-ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরভাবে যারা খুন করে, তাদেরই একজন অন্যতম খুনি আজিজ পাশা। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কাছে বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিল সে। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর খুনি আজিজ পাশাকে মরণোত্তর পুরস্কার দেয় খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইয়েড পেজে এ কথা বলেন তিনি।

জয় লেখেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, খুনি আজিজ পাশাকে প্রথমে উপহার স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয় জিয়াউর রহমান। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া ও ইতালিতে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আজিজ পাশা। এরপর, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পর আরও কাছে টেনে নেয় তাকে। খালেদার একান্ত বিশ্বাসভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জিম্বাবুয়ের ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিল সে।

তবে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার গঠন করার পর আজিজ পাশাকে পদচ্যুত করা হয় এবং তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সে আর দেশে ফেরেনি। জিম্বাবুয়েতে আত্মগোপন করে খুনি আজিজ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশেষে, ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতেই মারা যায় সে।

কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত আবারো ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হয় খালেদা জিয়া। এরপর যাবতীয় নিয়ম ভঙ্গ করে মৃত আজিজ পাশাকে আবারো চাকরিতে বহাল করে সে। মৃত এই খুনির চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে, তারপর মরণোত্তার অবসরে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে 'মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা' হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: