খুন করে ডাকাতির নাটক, পুত্রবধূসহ গ্রেফতার ৩

সময় ট্রিবিউন | ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:২২

সংগৃহীত

কুমিল্লায় পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় তাদের পুত্রবধূসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহীম এই তথ্য জানান।

এর আগে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বৃদ্ধ দম্পত্তিকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যাসহ ডাকাতির নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেফতার আসামিরা হলো, নিহত দম্পতির দুবাইপ্রবাসী ছেলে সৈয়দ আমান উল্লাহর স্ত্রী নাজমুন নাহার চৌধুরী শিউলী (২৫), শিউলীর খালাতো ভাই জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের আবদুর রহিম মজুমদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম মজুমদার সানি (১৯) ও তার বন্ধু জেলার লালমাই উপজেলার দক্ষিণ জয়কামতা গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান তুহিন (১৮)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, রবিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় নিহত দম্পতির মেয়ে সৈয়দা বিলকিস আক্তার কোলোয়ালী মডেল থানায় বৃদ্ধ দম্পতির পুত্রবধূ শিউলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।

এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর রাতভর অভিযান চালিয়ে প্রথমে শিউলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকা থেকে জহিরুল ইসলাম সানি ও জেলার বরুড়া উপজেলার আড্ডা বাজার থেকে মেহেদী হাসান তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়।

কাজী আবদুর রহীম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী, সানি ও তুহিন হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিবার রাতে খবর দিয়ে সানি ও হিনকে শিউলী তার শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নেয়। তখন বিল্লাল হোসেন বাসায় ছিলেন না। তারা সফুরাকে হাত-পা বেঁধে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে বিল্লাল হোসেন বাড়িতে এলে তাকেও তারা একই কায়দায় হত্যা করে লাশ বিছানায় ফেলে রাখে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, রাজন কুমার দাশ, সোহান সরকার ও ডিআইও-১ মনির আহাম্মদ, ডিবির ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর গ্রামে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরদিন ভোরে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: