শেরপুরে বিএনপি নেতা মারুফের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি | ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৯:৫১

ছবিঃ সংগৃহীত

শেরপুরে মানবাধিকার কর্মী ও বিএনপি নেতা মারুফের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ২৯ জুলাই (বুধবার) নালিতাবাড়ী উপজেলার ধর্ষিতা ওই নারী (ছন্দনাম পাখি) (২২) নিজে বাদী হয়ে শেরপুর বিজ্ঞ বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। সে গাজীপুর-২৭ বিউটি ফ্যাশন নামক একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেইসবুকে শেরপুর সদর উপজেলার ১১নং বলাইরচর ইউনিয়নের ধোবারচর গ্রামের মো. মোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে মো. সোয়াইব আহমেদ আলীফ (২২) এর পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পযার্য়ে তাদের মধ্যে গভীর ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের প্রলোভনে ভিকটিমকে ঢাকা থেকে শেরপুরে একই গ্রামে ধর্ষকের জেঠাতো ভাই মো. মকবর আলীর ছেলে বিএনপি নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মো. মারুফ হাসান (৩০) এর বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এক পর্যায়ে রাত্রি বেলা মারুফ হাসান স্থানীয় অপরিচিত একজন মুরুব্বির বাড়িতে নিয়া তাকে কাজী পরিচয় দিয়ে একটি নীল রংয়ের ভলিয়ম বইয়ে টিপ সাক্ষর নিয়ে তার বাড়িতে দক্ষিণ দুয়ারী হাফ বিল্ডিং ঘরে থাকতে দেয় এবং মারুফ হাসান বলে যে তোমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং গভীর বিশ্বাস জন্মাবার জন্য মারুফ হাসান কর্তৃক ১৫০ টাকা মূল্য মানের ২ ফর্দ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বিবাহ ঘোষণার ২ ফর্দ স্ট্যাম্প ভিকটিমকে দেয় এবং ধর্ষক সোয়াইব আহমেদ আলীফ, মারুফ হাসানের দেয়া কাগজটি দেখিয়ে ভিকটিমকে বিশ্বাস জন্মিয়ে সেই রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষক ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং এরপর থেকে ভিকটিমকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে হঠাৎ ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে ভিকটিম খুঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে যে তাকে বিয়ের নামে প্রতারণা পূর্বক ধর্ষণ করে জীবনের সর্বনাশ করেছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রতারক মারুফ হাসান ১১নং বলাইরচর ইউনিয়ন বিএনপি'র বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মানবাধিকার সংস্থা "আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন" এর শেরপুর সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

আরও জানা যায়, অভিযুক্ত মারুফ হাসান প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে কর্মজীবনে অগ্রণী ব্যাংক (নন্দীর বাজার) শাখার একজন অস্থায়ী অফিস সহায়ক পদে চাকুরি করছে।

এছাড়া আরও জানা যায়, মারুফের পরিবার যৌথ রাজনৈতিক পরিবার, তারা তিন ভাই। বড় ভাই মো.খালেক বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এর ইউনিয়ন নেতা, মেজো ভাই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক মো.মালেক মিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার অভিযুক্ত ধর্ষক সোয়াইব আহমেদ আলীফ ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী প্রতারক মারুফ হাসান কে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: