বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:৪৫

সংগৃহীত
স্পেনের রেফারি কমিটির প্রাক্তন সহ-সভাপতি হোসে মারিয়া এনরিকেজ নেগ্রেইরাকে ক্লাবের অর্থ দেয়ার জন্য বার্সেলোনার ফুটবল ক্লাবের (এফসিবি) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।  ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে  নেগ্রেইরা ও তার একটি কোম্পানিকে মোট ৮৪ লাখ ইউরো দেয়া হয়েছে- ফেব্রুয়ারি মাসে এমন একটি খবর সামনে আসে।  
 
বার্সেলোনার একটি আদালত গতকাল শুক্রবার (১১ মার্চ) ফুটবল ক্লাব বার্সালোনা, ক্লাবটির সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা এবং নেগ্রেইরার বিরুদ্ধে 'দুর্নীতি', 'বিশ্বাস লঙ্ঘন' এবং 'মিথ্যা ব্যবসায়িক রেকর্ড' এর অভিযোগের শুনানি করে। 
 
বার্সেলোনার পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের তথ্যমতে, ক্লাব, সেইসাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ এবং স্যান্ড্রো রোসেলের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো দায়ের করেছে। খবর বিবিসির   
 
পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস জানায়, এফসি বার্সেলোনা, হোসে মারিয়া এনরিকেজ নেগ্রেইরার সাথে অত্যন্ত গোপনে মৌখিক চুক্তি করে যাতে তিনি টেকনিক্যাল আরবিট্রাল কমিটির (সিটিএ) ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে অর্থের বিনিময়ে এফসি বার্সেলোনাকে মাঠে রেফারির বিভিন্ন সিদ্ধান্তে সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করে।
 
লা লিগার প্রধান নির্বাহী জাভিয়ের তেবাস গত মাসে বলেছিলেন যে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তা যদি এই অর্থ প্রদানের কারণ ব্যাখ্যা করতে না পারেন তাহলে তার পদত্যাগ করা উচিত।
 
লাপোর্তা এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে তিনি তেবাসকে 'পদত্যাগ করে যা চান তা দেবেন না এবং লাপোর্তা তার ক্লাব কখনও রেফারি কিনেনি' বলে যে জোর দাবি জানিয়েছিলেন তার তিন দিনের মাথায় এই অভিযোগ আসে।
 
মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, পরিষ্কার কথা হল বার্সা কখনই রেফারি কিনেনি এবং বার্সার কখনই রেফারি কেনার ইচ্ছা ছিল না, একেবারেই না।
 
জোয়ান লাপোর্তা ২০২১ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয়বারের মতো বার্সেলোনার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এর আগে তিনি ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
 
রেডিও স্টেশন সের কাতালুনিয়ার গত মাসে সর্ব প্রথম এই অর্থপ্রদানের বিষয়টি সামনে আনে। নেগ্রেইরার কোম্পানি দাসনিল-৯৫ এর ওপর দেশটির কর কর্তৃপক্ষ তদন্ত পরিচালনা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
 
বার্সেলোনা ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ওই কোম্পানিকে মোট ১৪ লাখ ইউরো দিয়েছে এবং ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নেগ্রেইরাকে প্রায় ৭০ লাখ ইউরো দিয়েছে।
 
তারা দাসনিল-৯৫ কোম্পানিকে 'এক্সটারনাল টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট' হিসেবে টাকা দিয়েছে- এটি বার্সা স্বীকার করেছে।
 
সূত্র বিবিসি

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: