জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বড় বাধা নেই: বিজিএমইএ সভাপতি

সময় ট্রিবিউন | ২ অক্টোবর ২০২১, ২৩:২২

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্লাটফর্মের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশের আর কোন বড় বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ সভাপতি উত্তর আমেরিকার সফর শেষে রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শনিবার (২ অক্টোবর) লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন।

সম্মেলনে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, মিরান আলী অন্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, " আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিশেষ করে জিএসপি প্লাসের একটি অন্যতম শর্ত ৭.৪ শতাংশ ইম্পোর্ট থ্রেশেল্ড থেকে অব্যাহত দেয়া কিংবা এর বিকল্প ফর্মুলা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রস্তাবিত ২০২৪-৩৪ জিএসপি রেগুলেশনে এই ইম্পোর্ট থ্রেশোল্ড শর্তটি বাদ দিয়েছে। ফলে আমরা যখনই অস্ত্র বাদে সব (ইবিএ) ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা হারাই না কেন, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে আমাদের আর বড় কোন বাধা থাকবে না।"

তিনি বলেন, "ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজার। যেখানে আমাদের প্রায় ৬০ শতাংশ রপ্তানি হয়। স্বল্পেন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে এই বাজারটিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় পরিবর্তন আসবে। যদিও বর্তমান সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, এর পরও যেন আরও অন্তত ১২ বছর এই সুবিধা (ইবিএল) বহাল রাখা হয় তার জন্য সরকার এবং বিজিএমইএ একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।"

তবে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি (শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা) ফেরত পাওয়া সহজ হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি।

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি ফেরত না পাওয়ার কারণটা রাজনৈতিক ইস্যু। আমাদের তৈরি পোশাক খাত কখনও জিএসপির আওতায় ছিল না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধান অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৯৭ শতাংশ পণ্যে উন্নতি দেশগুলো শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিতে বাধ্য। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র সুকৌশলে ওই ৯৭ শতাংশ পণ্যের শধ্যে আমাদের তৈরি পোশাক খাতকে রাখে নাই। তারপরও সফরে এ বিষয়ে কথা বলেছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: