টয়লেট থেকে ধর্ষণের আসামি পলায়ন: ওসি বরখাস্ত

সময় ট্রিবিউন | ২৫ আগষ্ট ২০২১, ০৪:২০

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ-ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্তকালীন তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজির আহমেদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ, কর্তব্য কাজে অবহেলা ও গাফিলতির দায়ে এ আদেশ জারি করা হয়।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার আসামি মো. জুয়েল (২৪) ও মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) ঢাকা সিআইডি থেকে আনার পথে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার একটি হোটেলের টয়লেট থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় স্পটে থাকা তিন পুলিশ সদস্য সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও আসমা আক্তারকে আগেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তখন পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

এদিকে এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৮ আগস্ট আদালতের নির্দেশে ধর্ষণ মামলার আসামি ও ভিকটিমকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকার মালিবাগ সিআইডিতে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। ফেরার পথে গজারিয়ার হাইওয়ে এলাকায় আল মদিনা হোটেলে তারা দুপুরের খাবার খেতে নামেন। এ সময় আসামিরা টয়লেটে যাবেন বলে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ পাহারায় তারা টয়লেটে ঢোকেন। এরই ফাঁকে আসামিরা একই কায়দায় দুই টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান। পরে কেরানীগঞ্জ থেকে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: