ফরিদপুরে মাছ ধরতে নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারী ও জালের ব্যবহার

ফরিদপুর ব্যুরো | ২৩ জুন ২০২২, ০০:২৩

ফরিদপুর সদরের দুর্গম চরের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ চায়না দোয়ারী, জাল বিক্রি ও সরবরাহ করে মাছ ধরছেন প্রভাবশালীরা-ছবি: সময় ট্রিবিউন

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের দুর্গম চরে ৩নং ওয়ার্ডের মনসুরাবাদ ও খলিল মন্ডলের ডাঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত চায়না দোয়ারী, জাল বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছে একই এলাকার লুৎফর রহমান সরদার। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গম চরের ফাকের আলীর বাজারে এই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় লুৎফর সরদার, জুলহাস সরদার, তার বাবা হবি সরদার এবং হবির সরদার নিজে, নিজ বাড়ীতে সরকার নিষিদ্ধ-ঘোষিত চায়না মাছ ধরার দোয়ারী জাল তৈরী করে আসছে।

এলাকাবাসীরা জানান এই নিষিদ্ধ ঘোষিত দোয়ারী ও জাল পার্শ্ববর্তী জেলার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করে থাকে এবং চরের বিভিন্ন খাল, বিল ও নালায় দোয়ারী ও জাল পেতে দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করছে। লুৎফর সরদার প্রভাবশালী বিধায় এলাকার অনেকেই ভয়ে কথা বলতে সাহস পায় না। এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।

এই বিষয়ে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক সত্যতা স্বীকার জানান, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত দোয়ারী, জাল তৈরী ও সরবরাহ বিষয়ে লুৎফর সরদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুর্গম চরের আজগর, মতিয়ার, মোতালেব বলেন, নিষিদ্ধ-ঘোষিত চায়না দোয়ারী ও ব্যবহার করা জাল সরবরাহের কারনে আমরা বর্ষা মৌসুমে দেশীয় কোন মাছ ধরতে পারছি না।

তারা আরও জানান, চায়না দোয়ারী ও জালের কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। আমরা দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: