কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ

সময় ট্রিবিউন | ৭ জুন ২০২২, ০৩:১১

হামলার শিকার চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ সবুজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন-ছবি সংগৃহীত

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নবনির্বাচিত এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী বিল্লা বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার মো. হানিফ সবুজ (৫০) উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী।

অপরদিকে, হামলাকারী আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজ মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী।

হামলায় গুরুত্বর আহত ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপর আহত ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনকে (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোনকসহ আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বের হই। বের হলে আমি দেখি মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তাঁর ভাতিজারাসহ ইউপি সদস্য সবুজ এবং তাঁর ভাই রনিসহ ২০-৩০জন ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তায় ওঁৎ পেতে আছে। বিষয়টি আমি আঁচ করতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তা দিয়ে না গিয়ে বিকল্প পথে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ত্যাগ করতে চেষ্টা করি। ওই সময় তারা উল্টো পথে গিয়ে বিল্লা বাড়ির সামনে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমার ওপর হকিস্টিক, লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত আক্রমন চালিয়ে আমার একটি পা, বুকের পাজর ভেঙ্গে দেয় এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা আমার কানে, মাথায় গুরুত্বর আঘাত করে ফাটিয়ে দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের মির্জা অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা মো. ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ইউপি সদস্য মো.ওমর ফারুক সবুজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসভি করেননি।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ছৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, আহত ইউপি চেয়ারম্যানকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা পর তাঁর শারীরিক অবস্থা জানা যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ফিরে এলে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: