ধামাকার নিকট আমরা ২০০কোটি টাকা পাওনা : উদ্যোক্তা

সময় ট্রিবিউন | ১৭ জুলাই ২০২১, ১৮:৩৩

ছবিঃ সংগৃহীত

চাল-ডালের পর এবার গরু অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে নতুন নতুন ক্রেতা তৈরি হচ্ছে। আসছে নতুন বিনিয়োগ। করপোরেটরা জোর দিচ্ছে ওষুধ কিনছেন ইলেকট্রনিকস পণ্য, পোশাক, গৃহস্থালির বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার প্রবণতা আগেই ছিল, যেখানে ভাটা পড়ে এপ্রিল-মে মাসে, জুনে আবার গতি ফিরেছে।এমনকি যাঁরা এত দিন গরুর হাটে গিয়ে শিং দেখে, দাঁত দেখে, সঙ্গে দু-একটা গুঁতো খেয়ে গরু কিনতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাঁদের একাংশ অনলাইনেই গরু দেখা শুরু করেছেন। ঘরে বসে পছন্দ করছেন খামারে থাকা গরু।  

বর্তমানে ই-কমার্স নিয়ে গেল মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনার পর থেকে অনেকটা সমস্যায় পরে যায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে ভোক্তাসহ যে সকল উদ্যোক্তারা পণ্য সাপ্লায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান গুলোকে সেবা প্রদান করে আসছিলো তারা বিল না পেয়ে বিপাকে পরে যায় এবং পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে।

এদিকে শুক্রবার (১৬জুলাই) থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মাইক্রোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের সকল পরিচালকরা মোবাইল বন্ধ করে সাপ্লাইয়ারদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।  

গতকাল সকাল থেকে ধামাকার পরিচালকদের ফোনে না পেয়ে সেলাররা জড়ো হয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. মুযতবা আলির বাসার সামনে। এসময় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলে অস্বীকার করলে বিভ্রান্তি তৈরি হয় সেলারদের মাঝে।

এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা এবং দ্রুত সমাধান চেয়ে উদ্যোক্তরা জানান, আমাদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাওনা ধামাকার নিকট। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধামাকার প্রধান কোম্পানির সকল ব্যাংক একাউন্ট এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. মুযতবা আলি, এমডি জসিমউদ্দীন চিশতিসহ সকল পরিচালকদের দেশ ত্যাগে নিষেজ্ঞার জারি করার দাবি তাদের।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: