পৃথিবীকে বাঁচাতে উষ্ণায়ন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতা চাই

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৬

পৃথিবীকে বাঁচাতে উষ্ণায়ন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতা চাই
জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাতে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে। লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলের ঘরবাড়ী। বেসরকারি হিসেবে ছয় হাজারের মতো মানুষের প্রাণহানী ঘটে। সিডরের তান্ডবতায় বিপর্যস্ত হয় সুন্দরবন। দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে সুন্দরবনের গাছপালা। পানিতে ভাসতে থাকে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী। তাই পৃথিবীকে বাঁচাতে উষ্ণায়ন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতা চাই। 
 
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মোংলার চিলা পশুর নদীর পাড়ে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।
 
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মোংলা এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ মানববন্ধনে সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নূর আলম শেখ।
 
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাপা নেতা নাজমুল হক, গীতিকার মোল্লা আল মামুন, আব্দুর রশিদ হাওালাদার, মারিয়া মাঝি, ক্রিস্টিনা আদিত্য প্রমূখ। এসময়ে বক্তারা আরো বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ি তথাকথিত উন্নত বিশ্বের কাছে আমরা ঋন চাইনা, ক্ষতিপূরণ চাই। জলবায়ু উষ্ণতা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। 
 
অন্যদিকে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর স্মরণে বুধবার সকাল ১০ মোংলার দক্ষিণ কাইনমারিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ব্লু প্লানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই) এর আয়োজনে উঠানবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠানবৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সংগঠক জলবায়ুযোদ্ধা কমলা সরকার। উঠানবৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র সদস্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। 
 
উঠান বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র সংগঠক পরিবেশ যোদ্ধা হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার তন্বী মন্ডল, জেলে সমিতির নেতা মোঃ নূর ইসলাম, প্রদীপ সরকার প্রমূখ। উঠানেবৈঠকে বক্তারা উপকূলজুড়ে পরিবেশ ও জনবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। 
 
বক্তারা উপকূলের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততাসহ নানাবিধ রোগ-ব্যাধি মোকাবেলায় উপকূলবাসীর পাশে থাকার জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: