ঘোড়াঘাটে কাঁচা বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল সাধারণ মানুষ

মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৪৮

ঘোড়াঘাট পৌর শহরের আজাদ মোড় কাঁচা বাজার।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাসের উপক্রম। রাত পোহালেই পণ্যের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে দাম বেশির কারণে বিক্রি কম হওয়ায় খুশি নন বিক্রেতারাও।

সরেজমিনে উপজেলার বাজার ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি আলু প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা,পটল ৬০ টাকা, বেগুন ৮০টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০টাকা,দেশী পেঁয়াজ ৯০টাকা, করলা ১০০টাকা, মিষ্টি লাউ ৫০টাকা, সুকনা মরিচ ৪০০টাকা, শশা ৫০টাকা, টমেটো ১০০টাকা,করলা ৮০টাকা, সিম ২০০টাকা, রসুন ২০০টাকা, আদা ২০০টাকা, পানি কচু ৭০টাকা।

পৌরশহরের বাঘের হাটে কাঁচা বাজার করতে আসা রিক্সা চালক রশিদ মিয়া জানান, তিনি বাজার করতে এসে তরকারির দাম শুনে হতবাক। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে পান মাত্র সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকা। মহাজনকে রিক্সার জমা দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকী টাকা দিয়ে আমরা গরীব মানুষ এত দামের সবজি কিভাবে কিনে খাব বলে চরম হতাশা ব্যাক্ত করেন। 

এদিকে বৈরি আবহাওয়ায় ফলন কম হয়েছে বলে দাবি সবজি চাষিদের। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। অথচ সেই পণ্যে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। এভাবে দাম চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। কম সরবরাহ আর পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে আকাশচুম্বী হচ্ছে সবজির দাম।

অন্যদিকে আড়তদারদের দাবি, আগের চেয়ে সরবরাহ কমেছে। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তার ওপর দুর্যোগ, ফলনও কম।

শুধু সবজি নয়, স্বস্তি নেই ডিম-চাল-ডালসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যেই। খাদ্যর মূল্য আর পরিবহন খরচ বৃদ্ধিতে ব্রয়লার মুরগীর দামও বেশি রাখছেন ব্যবসায়ীরা। সব দিক দিয়ে দিশেহারা ক্রেতারা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। জনদুর্ভোগ লাঘবে সচেতন মহল সরকারি ভাবে বাজার মনিটরিংসহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাজার মনিটরিং করছি। অসাধু ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে। যে সকল ব্যবসায়ীরা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: