রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:১৫

সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে অবস্থিত ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন তিনটি ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রোহিঙ্গা শিবিরে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বেশকিছু দোকানপাটও রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে। 

আজ রোববার (৫ মার্চ) বেলা পৌনে তিনটার দিকে ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে। ঘনবসতির কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করের জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আগুনের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া এবং বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইন চার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) সরওয়ার কামাল জানান, প্রায় ২ ঘন্টা পর শিবিরে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি- ২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, বেলা পৌনে তিনটার দিকে ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের একটি বসতবাড়ির রান্নাঘরের চুল্লি থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেলেও সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে সবাই ব্যস্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পাহাড়ের ঢালুতে ঘরবাড়ি ও পাহাড়ি চিপা গলি হওয়ায় কাজ করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার ক্যাম্পের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখানে দুই হাজার ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে বেশকিছু দোকানপাটও ছিল বলে জানান তিনি। তবে বারবার আগুন লাগার পেছনে রহস্য রয়েছে উল্লেখ করে ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে আশ্রয়শিবিরের প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: