আবারও মায়ানমার থেকে পড়ল বাংলাদেশ ভিতরে ২ টি গোলা; আতঙ্ক এলাকাবাসী

বান্দরবান প্রতিনিধি | ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:৩৬

সংগৃহীত

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান হতে ছোড়া ২টি গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে এসে পড়েছে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার ধুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।

তিনি সময় ট্রিবিউনকে জানান, মায়ানমারের রাজ্যের অভ্যন্তরে সেনা দু পক্ষে গোলাগুলি হচ্ছে। তাদের রণক্ষেত্র যুদ্ধের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে  গোলা বারুদ ও বোমা বান্দরবান সীমান্তে এসে পড়েছে।এই ঘটনায় কোন হতাহতে না হলেও এলাকাবাসীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর)  সকাল  নাইক্ষ্যংছড়ি  ঘুমধুম ইউপি'র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন  সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার।

বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল সাংবাদিকদের বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টায় রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন  সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি  মায়ানমার সেনাবাহিনী ২টি যুদ্ধ বিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার আগমন করে।   এই সময় যুদ্ধ বিমান থেকে আনুমানিক  ৮ থেকে ১০ টি গোলা ফায়ার করেন এবং  হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ টি  ফায়ার করতে দেখা যায়।

সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক  ১২০ মিটার  বাংলাদেশের অভ্যন্তরে  যুদ্ধ বিমান হতে ফায়ারকৃত ২টি গোলা পতিত হয়।

এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার ২বিজিপির  তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড  ভারী অস্ত্রের ফায়ার করেন যা এখনো চলমান রয়েছে এবং মিয়ানমার  মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে। কোন প্রকার হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এরূপ গোলাগুলির শব্দে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান বান্দরবান পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য যে, গত ২৮ আগষ্ট রোববার মিয়ানমারের সরকারী ও আরকান আর্মির সংগঠিত যুদ্ধে ব্যবহৃত পরপর দু'টি মর্টারশেল বাংলাদেশের কয়েক'শ গজ ভেতরের তুমরু গ্রামে এসে পড়ে। অবিষ্ফোরিত ২ টি মর্টারশেল। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: