দুর্গাপুরে অনাবৃষ্টিতে ধানের জমি ফেটে চৌচির

রাজেশ গৌড়, দুর্গাপুর | ২২ আগষ্ট ২০২২, ১০:২০

সংগৃহীত

ঋতু অনুযায়ী আগষ্ট মাস বর্ষাকাল। সাধারণত এই মাসগুলোতে আমাদের দেশে অন্য সব সময়ের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা এই মৌসুমে রোপা-আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত না থাকায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ফসলী জমিসহ মাঠ-ঘাট পানি শূন্যতায় চৌচির হয়ে পড়েছে।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে রোপা আমন ধানের জমিতে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। এবছর এই এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত না থাকায় প্রচন্ড তাপদাহ আর তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টিতে একদিকে জনজীবন যেমন অতিষ্ঠ তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে জীব-বৈচিত্র সহ ফসলের চাষাবাদ। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখছেন কৃষক। এতে ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

দুর্গাপুর পৌরসভার বুরঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল হক বলেন, বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে।

বিরিশিরি ইউনিয়ননের কৃষক নূর আলম জানান, পানির ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি না থাকায় জমি ফেটে যাচ্ছে। পানির অভাবে ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। শ্যালো মেশিন কিংবা বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে রোপা আমন আবাদ উপযোগী নয়। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়।

এবছর এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় মোট ১৬ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ইতিমধ্যে পুরণ হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, সাধারণত আষাঢ় মাসের ২০ থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যন্ত রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়। অনাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপদাহ যদি আরো সপ্তাহ খানেক চলে, তাহলে রোপা আমন চাষ ব্যপক ক্ষতির সন্মুখিন হতে পারে। মোটা ধানের জন্য একটু অসুবিধা হলেও চিকন জাতের ধানের জন্য তেমন ক্ষতি হবেনা। দুই এক সপ্তাহের মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে গভীর নলকূপ চালু করে ফসল ঘরে তুলতে হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: