স্কুলছাত্রী অপহরণের দুইসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হয়নি উদ্ধার

মোঃ আল আমিন, কলাপাড়া প্রতিনিধি | ২৮ জুলাই ২০২২, ২১:৫৫

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অপহরনের ১৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মার্জিয়া আক্তার (১৫)।

কিশোরী মার্জিয়ার বাবা মায়ের দাবী তারই আপন মামাতো ভাইয়ের ছেলে বাহাউদ্দিন নাসিম ও তার সঙ্গীরা গত ১৩ জুলাই সকালে মার্জিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মার্জিয়া আক্তার এবং বাহাউদ্দিন নাসিম সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। অপহরনের পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজিঁর পরও মার্জিয়াকে না পেয়ে অবশেষে গত ১৬ জুলাই কলাপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে মার্জিয়ার মা জাহানারা বেগম (৩৫)। মামলার ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মার্জিয়াকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি।

মামলায় বর্ণিত অন্যান্য আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদেরও ধরছে না পুলিশ, এমন অভিযোগ পরিবারের। তবে পুলিশের দাবী আসামীসহ মার্জিয়াকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যদিয়ে অচিরেই উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন তারা। অপহরণের পর থেকে মার্জিয়ার বাবা মাসুদ তালুকদার মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে পাগলের মত যাকে পাচ্ছে তাকেই তার মেয়ে এনে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।

জানা গেছে, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মাসুদ তালুকদারের স্ত্রী জাহানারা বেগম এবং কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হোসেন পাড়া গ্রামের সোবাহান মাঝির ছেলে বাহাউদ্দিন নাসিম আপন মামাতো ফুফাতো ভাই বোন। আত্মীয়তার সুবাদে বাহাউদ্দিন মাঝে মধ্যে বোনের বাসায় আসা যাওয়া করতো।

ভাগ্নি মার্জিয়া আক্তার লেখাপড়া করে খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে আসা যাওয়ার সময়ে প্রায়ই ভাগ্নি মার্জিয়ার সাথে দেখা সাক্ষাত করতো মামা অনার্স পড়ুয়া বাহাউদ্দিন। রক্তের বন্ধন ভুলে গিয়ে বাহাউদ্দিন নানা প্রলোভনে ভাগ্নির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

মার্জিয়ার মা জাহানারা বেগম জানান, বাহাউদ্দিন আমার আপন মামাতো ভাই। বাহাউদ্দিনের সাথে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হতে পারে না। কারন তারা মামা ভাগ্নে। আমার স্কুল পড়ুয়া অবুঝ কিশোরী মেয়েকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগেও বাহাউদ্দিন অপহরণ করে নিয়ে যায়। পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। মেয়ের মান ইজ্জতের দিকে চেয়ে তখন পারিবারিকভাবে এর মিমাংসা করা হয়। এর ১ সপ্তাহ পর বাহাউদ্দিন মার্জিয়াকে আবারও অপহরণ করে নিয়ে যায়। জাহানারা বেগমের দাবী টাকা পয়সা এবং সম্পদের লোভে বাহাউদ্দিন তার ভাগ্নিকে অপহরণ করেছে। তিনি আরও জানান, বাহাউদ্দিন অবুঝ মার্জিয়াকে প্রলোভনে ফেলে অপহরণ করেছে। উদ্দেশ্য তার ভিন্ন।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জিয়াউল ইসলাম বলেন, এর আগেও বাহাউদ্দিন মার্জিয়াকে নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছেলে মেয়ে সম্পর্কে মামা ভাগ্নি। দ্বিতীয়বার আবারও ভাগ্নিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাহাউদ্দিন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, মোবাইল বন্ধ থাকায় খোঁজ পেতে সময় লাগছে।
তবে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা মার্জিয়াকে অচিরেই উদ্ধার করতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম জানান, মার্জিয়াকে উদ্ধারে আমার প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: