পদ্মাসেতুর সুফল পেতে কৃষি ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার দাবী

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ২৮ জুন ২০২২, ০১:৪৩

ছবি: সময় ট্রিবিউন

বাগেরহাটে ‘বাজেট পর্যালোচনা, পদ্মাসেতুর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন বাগেরহাট জেলা কমিটির এই আয়োজন করে।

সংলাপে বক্তারা উপকূল রক্ষায় দূর্যোগ সহনশীল পরিবেশবান্ধব-জনবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার দাবি জানান। পাশাপাশি উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন এবং জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া সূপেয় খাবার পানি সরবরাহ, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মান, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনশীল গৃহ প্রদান, বনজীবি-মৎস্যজীবি, জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালীদের জীবিকা রক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।

এছাড়া পদ্মাসেতুর সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিপণ্য সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে এর সুফল খোদ কৃষকের কাছে পৌছানোর ব্যবস্থার দাবি করেন তারা।

সংলাপে সভাপতিত্ব ও সংলাপ সঞ্চালনা করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি মো. নূর আলম শেখ। সংলাপে ধারণাপত্র পাঠ করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান। সংলাপে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার, সিপিবি'র জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফররুখ হাসান জুয়েল, ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের আহসানুল করিম, বাগেরহাট পিসি কলেজের সাবেক ভিপি আজমল হোসেন, ইয়ামিন আলী, বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন মোল্লা, নারীনেত্রী এ্যাড. লুনা সিদ্দিকী, রূপান্তরের আলমগীর হোসেন মিরু, দি হাঙ্গার প্রোজেক্ট'র মো. হাফিজুর রহমান, বাজেটকর্মী-নদীকর্মী হাছিব সরদার, ইয়ুথ লিডার সাইদ খান প্রমূখ।

সভাপতির বক্তৃতায় গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা কমিটির সভাপতি মো. নূর আলম শেখ বলেন সরকারকে প্রগেসিভ হারে অধিক কর আদায়ে মনযোগ দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ছেঁটে ফেলতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আকার ও পরিধি বাড়াতে হবে। কৃণিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলমান উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে বাজেট প্রণয়নের কেন্দ্রিভূত প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে হবে।

সংলাপে বক্তারা আরো বলেন নদী বিধৌত পলিভূমি দ্বারা গঠিত বৃহত্তম সক্রিয় বদ্বীপের একটি বৃহত্তর অংশ হচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর উর্বরতম অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশকে গ্রীণ ডেল্টাও বলা হয়। তাই বাজেটে কৃষিজমি, সুন্দরবন, উপকূল ও পরিবেশ সুরক্ষায় বরাদ্দ দিতে হবে। জলবায়ু সহিষ্ণু বাজেট প্রনয়ন সময়ের দাবী। জীবাশ্ম জালানি থেকে সরে আসার জন্য নবায়নযোগ্য জালানি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সাগর-নদ-নদী-খাল-বিল-হাওড়-জলাশয়-বন-জঙ্গল-পাহাড় রক্ষায় টেকসই এবং পরিবেশ ও প্রকৃতিবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: