সাংবাদিক লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি | ৬ জুন ২০২২, ০৪:৪০

সংগৃহীত

নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত নিয়ে অসংখ্য রিপোর্ট করলেও আজ নিজেদের সহকর্মির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে হামলার শিকার হওয়ার ৪দিন হয়ে গেলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়ালেন সাংবাদিকরা।

রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সামনে ব্যানার হাতে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারও বিচার দাবি করে তারা দুই ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।  

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, নাসির উদ্দিন বাদল,লিয়াকত আলী খান, আকাশ মো.জসিম,মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।  

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত বুধবার দুপুরে জেলার বেগমগঞ্জের বাংলা বাজারে বিএনপির একটি কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মিজানের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও ভিডিওি ফেলে দেয়। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাবেদ হোসেন রকি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তুহিনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ঘটনার দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনকে আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেধে দিয়ে তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্ত তারপরেও আইশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।  

সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুর উপস্থিতিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যান। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচিস্থলে এসে হামলা চালায়। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে যুবলীগ কর্মী জাবেদ হোসেন রকি ও তুহিন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। দুই ঘন্টা পর সকল ভিডিও মুছে তাকে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: