পদ্মা সেতুর ফলে বেড়ে যাবে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব

আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট) | ৫ জুন ২০২২, ০৭:৩১

সংগৃহীত

আগামি ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের বহু কাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এক সময় যে প্রমোধ পদ্মা পারি দিতে মানুষকে পোহাতে হতো ভোগান্তি, ফেরি ঘাটে বসে থাকতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা, আর রুগী কিংবা কাঁচামালের পণ্য নিয়ে ফেরি ঘাটে বসে ফেলতে হতো কষ্টের দীর্ঘনিঃশ্বাস মানুষের সেই দুঃখ-দুর্দশা লাগবে অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী মাসের ২৫ জুন চালু হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু।

এই সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে যেমন দুপারের মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে তেমনি সচল হয়ে উঠবে অর্থনৈতীক চাঁকা।

 মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ) কমান্ডার মোঃ ফকর উদ্দিন বলেন পদ্মা সেতু হওয়ার মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ তার আশেপাশের ব্যাবসায়িক অঞ্চল গুলির সাথে মোংলা বন্দরের দূরত্ব কমে যাবে এবং চট্রগ্রাম বন্দরের সাথে প্রায় ৮০ কিলোমিটারের দুরত্ব কমে আসবে। এবং এই সংযোগের মাধ্যমে কোন যানজট ছাড়াই খুব অল্প সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে আমদানি এবং রপ্তানিকৃত মালামাল খুব তাড়াতারি ঢাকায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। 

 আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকদের জন্য সময় অর্থ ও দুরত্বের সাশ্রয় হবে যার ফলে গুরুত্ব বেড়ে যাবে মোংলা বন্দরের। আর মোংলা বন্দরের আমদানি রপ্তানি বেড়ে গেলে সেই সাথে বেড়ে যাবে বন্দরের রাজস্ব। রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সহ অর্থনৈতিক আয় বৃদ্ধি পাবে। এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই অঞ্চল নতুন করে জাগরণের মাধ্যমে জেগে উঠবে তবে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের এই বন্দর ব্যবহারের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

 ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। চলতি মাসের ২৫ তারিখ স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: