ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিতে (এপিএসসিএল) শ্রমিক-কর্মচারীদের বাসা বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রণয়ন করে বাসা বরাদ্দ দেয়ার আবেদন জানিয়েছে কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠন।
তাদের অভিযোগে বলা হয়- তরুলতা ৮/৩ বাসাটি সিনিয়র ইন্সট্রুমেন্ট মেকানিক মো. নাজমুল আলমকে জ্যেষ্ঠতার তালিকা উপেক্ষা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বাসা প্রাপ্য তালিকায় নাজমুলের নাম ৩৮ নম্বরে। আরও ৩৭ জনকে ডিঙিয়ে তাকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়। অনামিকা ৮/১ বাসাটি বরাদ্দ দেয়া হয় ২৩নং ক্রমিকের শামসুল আলমকে। সিনিয়র এসিসটেন্ট (অর্থ) শারমিন জাহানের বাসা পাওয়ার আবেদন নম্বর ১৯। তার চাহিত বাসা অনির্বাণ ২/৬। এই বাসাটিতে একজন কর্মচারী বসবাসরত থাকা অবস্থায় শারমীনকে বরাদ্দ দেয়া হয়। অন্যদিকে সিনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সোহরাব হোসেনের নাম জ্যেষ্ঠতার তালিকায় ২ নম্বরে থাকার পরও তাকে কোনো বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
তিনি একক বাসা বরাদ্দ চেয়েছিলেন। নিরাপত্তা প্রহরী শহিদুল ইসলাম সুমনকে তার চাহিত বাসা দুর্বার ২/৩ বরাদ্দ না দিয়ে ওই বাসাটি ফাঁকা ফেলে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া কাজ নেই মজুরি নেই ভিত্তিক শ্রমিকদের বাসা বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রেও জ্যেষ্ঠতার তালিকা মানা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। এই তালিকাভুক্তদের মধ্যে ১৩,১৪,১৫ ক্রমিকে থাকাদের বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ করা হয় একই ভবনে বাসা পরিবর্তনেও কোনো নীতিমালার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গত ১০ অক্টোবর এপিএসসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি বরাবর অনিয়ম করে দেয়া এসব বাসা বরাদ্দের আদেশ বাতিলের আবেদন করেন। এতে তারা নীতিমালা অনুসারে জ্যেষ্ঠতার তালিকা করে বাসা বরাদ্দ দেয়ার দাবি করেন। জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর যোগদানকৃত সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাকরিকাল গণনা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোম্পানিতে যোগদানকৃতদের ক্ষেত্রে সেটি উপেক্ষা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোম্পানিতে যোগদান করা সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতার তালিকা পুনর্নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী বাসা বরাদ্দ দেয়ার দাবি করা হয়। তবে বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বাসা বরাদ্দে অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন। কোম্পানির শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য দোয়েল, তরুলতা, অনির্বাণ, অনামিকা, প্রভাতী ও দুর্বার নামের ভবনগুলোতে ৩৮৮ জন পরিবারসহ এবং ৬৪ জন ব্যাচেলর বসবাস করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: