কয়েকজন ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বেড়েছে ডিমের মূল্য!

আফিফ আইমান | ২২ আগষ্ট ২০২২, ১০:৩২

সংগৃহীত

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার এর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । সপ্তাহের ব্যবধানে সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী; বিশেষ করে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় ডিমের ডজন। এখন কিছুটা নাগালের মধ্যে এসেছে ডিমের দাম। তবে নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবিত্তদের পছন্দের অন্যতম পণ্যটির দাম কারা বাড়িয়েছে বা কাদের কারসাজিতে দাম বেড়েছে সে প্রশ্ন এখনও সবার মনে রয়ে গেছে।

জ্বালানি তেলের দাম বা পোল্টি খাবারের কারণে ডিমের দাম বাড়েনি, দাম বৃদ্ধিতে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সংঘবদ্ধ কারসাজি ছিল । বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামের অস্থিতিশীলতাকে পুঁজি করে এই কাজটি করেছেন সাভারের আশুলিয়ার দুইজন ডিম ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, সংকটের বাজারে বেশি ডিম বিক্রি করে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বাড়তি কমিশনও পেয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে কাপ্তান বাজারের আড়ৎদার মোর্শেদ আলম বলেন, সাভারে দুইটি প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো হলো- ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ ও রিপন এক্সসেন্টাল। এই দুটি প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্ম থেকে ডিম কিনে। গত ১৩ আগস্ট কাজী ফার্ম ভিট পাঠাইছে ১ হাজার ৫০ টাকা। আর তারা কিনেছে ১ হাজার ২০০ টাকা। যখন তারা ১৫০ টাকা বেশি দিয়ে ক্রয় করে নিল তখন সারা দেশে ডিমের দাম বেড়ে গেল। আর এই বেড়ে যাওয়ার ফলে সব কোম্পানিও রেট বৃদ্ধি করল।

এ বিষয়ে আড়ৎদার মোর্শেদ আলম বলেন, যে যত বেশি ডিম বেশি বিক্রি করবে সে তত বেশি কমিশন পায়। এই কমিশনের কারণেই দুই প্রতিষ্ঠান ফাটাফাটি করে। কাজী ফার্ম যে রেট দেয় তার থেকে প্রতিদিনই শতকরা ১০০ টাকা, কখনও ৫০/৬০ টাকা বেশি দিয়ে মাল ক্রয় করে।

এসব বিষয়ে পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, সংকটের সময় বাজারে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। তিনি বলেন, যখন আমদানি কম থাকে তখন ভিট প্রাইস দেয়ার একটা সুযোগ নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। সে সুযোগটা তারা কাজে লাগিয়েছে। প্যানিক হয়ে কিন্তু অনেকে একটু দাম বাড়ায়, আবার যারা কিনে তারা একটু বেশি কিনে, আবার যাদের সুযোগ নেওয়ার দরকার যেমন, মধ্যভোগী যারা, তারা একটু বেশি সুযোগ নেয়। সব কিছু মিলেই একটা অস্বাভাবিক দাম বেড়েছিল।

ডিমের দাম তদারকিতে দেশের বিভিন্ন ডিমের আড়তে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় দেখা যায় বেশির ভাগ আড়ত বন্ধ। ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ ও মূল্যতালিকা না থাকায় অনেক আড়তকে জরিমানা করা হয়।

সরকারি নির্দেশনায়, খুচরা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ লাভে ডিম বিক্রি করা যাবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: