বান্দরবানের টোল পয়েন্টে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি | ৬ জুলাই ২০২২, ০৪:১৭

-ফাইল ছবি

বান্দরবানের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন টোল পয়েন্ট বিরুদ্ধে। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন টোল পয়েন্ট বিরুদ্ধে কাঁচামালের ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকরা এই অভিযোগ তুলেন।

অভিযোগে উঠে এসেছে প্রত্যেক কাচামালের দেড় টন গাড়ি মুল্যে চার্টের দেওয়া আছে ১৫০ টাকা, যা টোলের কর্তৃপক্ষ আদায় করেন ১৫০০ টাকা। আবার ৩ টনের ট্রাকের কাচামালের গাড়ি চার্টের দেওয়া আছে ৩০০ টাকা, কর্তৃপক্ষ আদায় করছেন ২০০০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয় প্রতি ট্রাকের একটি গরুর দাম দেওয়া আছে ১৫০ টাকা সেখানে কর্তৃপক্ষ আদায় করছেন  ৫০০ টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় থেকে রাত  ১০ টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা আন্দোলন করে গাড়ি বন্ধ করে রাখে কাচামালের ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকরা। টোল পয়েন্টের দ্বায়িত্বরত প্রত্যেক গাড়ি থেকে টাকা বেশী নেওয়ার কারণের কর্তৃপক্ষের সাথে ব্যবসায়ীদের মাঝে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ের বেশীর টোল আদায় নেওয়ার কারণের শুরু হয় তর্কবিতর্ক। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।

এদিকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান হতে কাচামালের রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন দ্রব্যাদির উপর টোলের নির্ধারিত হার দিলেও সেটি অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকরা। শুধু তাই নয় বিভিন্ন দ্রব্যাদির উপর টোলের নির্ধারিত হার কর্তৃপক্ষের কোন সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। অন্যদিকে চার্টের টোলের দাম দেওয়া থাকলেও সেটি বেশী করে আদায় করছে টোলের কর্তৃপক্ষ। তাদের দেওয়ার অতিরিক্ত টোলের টাকা না দিলে খারাপ ব্যবহার, অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও অপব্যবহার করছেন টোল পয়েন্টের থাকার টোল আদায়কারীরা।

জেলা পরিষদ টোল পয়েন্টের টাকা আদায়কারী আতিকুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে কাচাঁমালের ট্রাক চালক মো.হাসান বলেন, টোল চার্টের চেয়ে বেশীর টাকা নিচ্ছে। টাকা না দিলে মারতে আসে। এমনকি আমাকে গালাগালি গাড়ি বন্ধ রাখার হুমকি দেন।

কাচামালের ব্যবসায়ী হানিফ বলেন, আমাদের গাড়ি সন্ধ্যায় হলে লোড হয়ে বিভিন্ন স্থানের কাচামাল যায়। সেই ট্রাকের ভর্তি কাচামালের নির্ধারিত মুল্যের টাকা না নিয়ে অতিরিক্ত করে নিচ্ছে। এ ব্যাপার নিয়ে বললে গালাগালি খারাপ আচরণ করেন আমাদের সাথে। যদি লিষ্ট অনুযায়ী টোল নেয় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নাই।

জেলা পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন টোল পয়েন্টের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ১৬ জুন লীজটি নিলাম হয় ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। নিলামের লীজটি ঠিকাদার লাইসেন্স শশাংমং মারমা নামের লীজের নিলামটি নেন ৪ জন। সেই লীজ নিলামের টাকা এক বছরের মধ্যে টাকা উঠাতে শুরু হয়েছে সিন্ডিকেট।

টোল পয়েন্টের শেয়ারদার সাইফুল বলেন, ঘটনাটির ব্যাপারে আমরা খুব লজ্জিত। এ ব্যাপারে নিউজ না করা অনুরোধ করে তিনি।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উচিংমং মারমা জানান, টোল আদায়কারীদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে মৌখিক ভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং একটি নির্ধারিত মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই তারা মূল্য তালিকার বেশি নিতে পারবেন না।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: