তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ে খুলনাকে হারালো কুমিল্লা

স্পোর্টস ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ০৮:৪০

তাওহিদ হৃদয়ের ঝড়ে খুলনাকে হারালো কুমিল্লা

প্রথম চার ম্যাচের দুটিতে হার। বিপিএলের শুরুতে একটু 'শেকি' থাকা যেন নিয়মই বানিয়ে ফেলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিইয়ান্স। টুর্নামেন্ট যতো সামনে এগোতে থাকে, ততই জট খোলে তাদের। পরের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় সেটারই প্রমাণ।

ব্যতিক্রম হয়নি বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষেও। কুমিল্লার টানা পাঁচ নম্বর জয়টি এসেছে ৭ উইকেটে।

কুমিল্লার সঙ্গে এখানে যোজন-যোজন পার্থক্য খুলনার। আসরের প্রথম চার ম্যাচেই জিতেছিল দলটি।

শুরুর দিকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও ছিল খুলনা। সেই তারাই টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে এখন সেরা চারে না থাকার অনিশ্চতায় ভুগছে। আট পয়েন্ট নিয়ে খুলনার অবস্থান এখন পাঁচে। সেখানে রংপুর রাইডার্সের সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়েও রানরেটে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে অবস্থান কুমিল্লা।

খুলনার ১৬৪ রান তাড়ায় কুমিল্লার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে যান লিটন দাস। ওয়েইন পার্নেলের বলে লিটনের ক্যাচ নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা উইল জ্যাকসও এদিন ডানা মেলার আগে ১৮ রানে আউট হন। দলীয় ৮৩ রানের ফেরেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জনসন চার্লসও।

তবে কুমিল্লার দাপটে চিড় ধরতে দেননি তাওহিদ হৃদয়। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে ব্যাট কথা বলেনি। সেই ঝাল তাওহিদ মিটিয়েছেন পার্নেল-লুক উড সমৃদ্ধ খুলনার বোলিং লাইনআপের ওপর দিয়ে। অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে খুলনার স্কোরটা আরেকটু বড় না হওয়ার আক্ষেপ করতেই পারেন তাওহিদ। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলা জাকের আলি অনিক।

আগের দিন বড় স্কোরের ম্যাচ দেখে টস জিতে ব্যাটিং নিলেও খুলনার ইনিংসে কেউ ঝড় তুলতে পারেননি। তাদের ইনিংস এগিয়েছে অনেকটা 'দশে মিলে করি কাজের' মতো। প্রথম ছয় ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। তবে কারো স্কোর চল্লিশের ঘরে যায়নি।

রয়েসয়ে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও আফিফ হোসেন। ৪.১ ওভার থেকে তারা তুলেন ৩২ রান। ম্যাথু ফোর্ডের বলে হেলস বোল্ড হলে এই জুটি ভাঙে। ১৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২২ রান করেন হেলস। আরেক প্রান্তে ছন্দ পাননি আফিফ। তিনে নেমে রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্বটা তাই নিজের কাঁধে তুলে নেন এনামুল হক বিজয়। তবে খুলনার অধিনায়কের ইনিংস বেশিদূর এগোয়নি। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে জাকেরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি। এনামুলের ১৩ বলের ইনিংসে কোনো চার না থাকলেও দুটি ছক্কার মার রয়েছে।

অধিনায়কের পথ অনুসরণ করতে বেশি সময় লাগেনি আফিফের। দলের স্কোর বোর্ডে আর ২ রান যোগ হতেই তাকে ফেরান প্রথমবার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া আলিস আল ইসলাম। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও এভিন লুইসের ৫৭ রানের জুটি। ১১ রানের ব্যবধানে আউট হন দুজনেই। ১৯ বলে ২৮ রান করা মাহমুদুলকে ফেরান ফোর্ড। ২০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৬ রান করা লুইস শিকার মঈন আলির। ইনিংসের বাকি অংশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ২০ রান করেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পার্নেল। তবে চট্টগ্রামের উইকেটে খুলনার সংগ্রহটা যে যথেষ্ট ছিল না, সেটা তাওহিদের ব্যাটিংয়েই প্রমাণিত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: