হাফপাস দিতে হবে, না হয় সরকারকে বিদায় নিতে হবে: ফখরুল

সময় ট্রিবিউন | ২৯ নভেম্বর ২০২১, ০৪:০৪

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শিক্ষার্থীদের চলমান হাফ পাসে দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের হাফ পাশ দিতে হবে, না হলে এই গণবিরোধী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। 

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে পড়ে। তারা বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে আজ রাস্তায় নেমেছে। তাদের হাফপাস দিতে হবে। কেন বলছে? কারণ তাদের লেখাপড়া করতে খরচ অনেক বেশি। তাদের মা-বাবারা যারা নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত তারা সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। একদিকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, শিক্ষার খরচ বেড়েছে। এর মধ্যে বাসের ভাড়া অনেকগুণ বেড়েছে। সবমিলিয়ে একটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই গণবিরোধী সরকার প্রথমে ডিজেল আর তেলের দাম বাড়াল। সঙ্গে সঙ্গে বাসমালিক-শ্রমিকদের বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে স্ট্রাইকে নামিয়ে দিলো। মনে আছে তো আপনাদের? তারা তাদের আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকেট ভারি করার জন্য কৌশলে জনগণের পকেট কাটছে। 

তিনি বলেন, আজ বাসের ভাড়া কমানোর দাবিতে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা আন্দোলন করছে। সরকার বলছে, বিআরটিসি বাসের ভাড়া তো কমালাম কিন্তু প্রাইভেট বাসের ভাড়াতো আমরা কমাতে পারবো না। আমি বলি, তোমরা প্রাইভেট মোবাইল, টেলিফোন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারো আর বাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারো না? তোমরা শিক্ষার্থীদের বাস ভাড়া কমিয়ে দাও। সেখানে যদি ২/৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় তা তোমরা দিবে না কেন? আগামী প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষার জন্য, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আজকের সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের হাফপাসের দাবিতে সম্পূর্ণ সমর্থন করছি। প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেবে। 

উন্নয়নের নামে লুটপাট হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ। এমন ব্যর্থ হয়েছে, তারা চুরি ছাড়া কিছু করে নাই। হাসপাতালগুলোতে যাবেন তাহলে চিকিৎসার দৈন্যদশা দেখবেন। করোনার সময় দেখেছেন, হাসপাতালে সিট নাই, অক্সিজেন নাই, ডাক্তার নাই ওষুধ নাই। মেট্রোরেল বানাচ্ছে? সেটার জন্য ঢাকা শহর দশ বছর ধরে খোড়াখুড়ি করে রেখেছে। এখনে কাজ হয়নি। ব্যয় বেড়েছে দশগুণ। দশহাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পদ্মাসেতুতে চল্লিশ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ভাঙ্গা থেকে মাওয়া প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। যা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিতেও চিন্তা করা যায় না। 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: