মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে প্রেসক্লাব: আমান

সময় ট্রিবিউন | ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০২:৫৯

আমান উল্লাহ আমান। ফাইল ছবি

জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান।

নব্বইয়ের দশকের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতাদের পক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ মত প্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী ঘৃণ্য তৎপরতাকে সহযোগিতা করেছে।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে গোটা দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমরা মনে করি, জাতীয় প্রেসক্লাব অতীতে জাতির নানা সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার অবারিত সুযোগ জাতীয় প্রেসক্লাব কখনই হরণ করেনি।

তিনি বলেন, ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রেসক্লাবের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে যেমন ভূলুণ্ঠিত করল তেমনি একইভাবে বর্তমান স্বৈরাচারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী বিনা ভোটের নিশিরাতের সরকারের রাজনীতি-গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘৃণ্য তৎপরতাকেই সহযোগিতা করল। দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি।

গত ১০ অক্টোবর জেহাদ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগ আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীনের বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া কিংবা মামলার রায় হলেই তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে আসতে পারবেন না কিংবা জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিডিও কনফারেন্সেও কথা বলতে পারবেন না, এটা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং দোষী, নির্দোষী, পক্ষ কিংবা বিপক্ষ যেকোনো ব্যক্তি প্রেসক্লাবে আসবেন, তাদের মতামত ব্যক্ত করবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন এটাই রীতি। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাব এই নীতি অনুসরণ করে আসছে।

আমান বলেন, প্রেসক্লাব সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সুমহান গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সচেতন দেশবাসী আশা করে প্রেসক্লাবের সভাপতি দুঃখ প্রকাশ করে ওই বিবৃতি প্রত্যাহার করে জাতীয় প্রেসক্লাবের মর্যাদা রক্ষা করবেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, একটি মহল এই প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষমতাসীনদের একটি তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। যা দেশের আপামর বিবেকবান মানুষকে চরমভাবে হতাশ করেছে।

আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি ফজুলল হক মিলনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, জহিরউদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুতফুর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, কামরুজ্জামান রতন, আবদুল মালেক, শিরিন সুলতানা, ছাত্র দলের সাবেক নেতাদের মধ্যে এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান মিন্টু, যুব দলের সাবেক নেতা কাইয়ুম চৌধুরী ও ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: