ভয় ভীতি প্রদান, গ্রেপ্তার বা কোনো বাধাই মহাসমাবেশ আটকাতে পারবে না : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৩৯

ভয় ভীতি প্রদান, গ্রেপ্তার বা কোনো বাধাই মহাসমাবেশ আটকাতে পারবে না : মির্জা ফখরুল

পুলিশি গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা এমন কী সরকারের কোনো বাধাই মহাসমাবেশ আটকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়নি, পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। ভয় ভীতি প্রদান, গ্রেপ্তার বা কোনো বাধাই মহাসমাবেশ আটকাতে পারবে না। মানুষ এবার আন্দোলন করে বিজয় ছিনিয়ে আনবেই।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৩ই অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।

মির্জা ফখরুল বলেন, বারবার সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় আসা তাদের মজ্জাগত অভ্যাস। আবারও তারা সে পথ বেছে নিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে একতরফা নির্বাচন করতে চায়। যাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রমুখী না হয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে প্রতিটি স্টেপই ঝুঁকিপূর্ণ। সেটা দেখে লাভ নেই, জনগণ জেগে উঠেছে।

বিএনপির সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করে। তারা আবারও তাই করবে।
আনসারকে গ্রেপ্তার ও তল্লাশি করার ক্ষমতা দিয়ে সংসদে যে বিল উত্থাপন করা হয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আনসার বাহিনী প্রকৃতপক্ষে প্রশিক্ষিত কোনো বাহিনী নয়। তাদেরকে এ ক্ষমতা দেয়ার আইন পাশ থেকে সরে আসারও আহ্বান জানান তিনি। আনসার বাহিনীকে অনেকটাই আধুনিক করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর সেটিকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ।

বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে। বেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।


১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সমাবেশে যে হামলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বাহারের নির্দেশে হয়েছে। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ যুবলীগ সরাসরি জড়িত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: