হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম : প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ১২ নভেম্বর ২০২১, ০০:৫৬

ছবিঃ সংগৃহীত

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আমাদের মহান স্বাধীনতার ইতিহাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চে বাঙালির পক্ষে কূটনৈতিক যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি নেন। বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বন্দী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জোরালো আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ৯৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কূটনীতিক এবং জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ৯৩তম জন্মজয়ন্তীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী আমাকে এবং আমার বোন শেখ রেহানাকে বেলজিয়াম থেকে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে আনার ব্যবস্থা করেন। আমাদের চরম দুঃসময়ে তিনি এবং তার সহধর্মিণী মেহজাবিন চৌধুরী পরম মমতায় আমাদের দুই বোনকে আগলে রাখেন। সেসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী দিল্লিতে আমাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। 

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে স্পিকারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। জাতীয় সংসদের প্রচলিত রীতিনীতির আধুনিকায়ন এবং সংস্কারে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

 আমি সাবেক স্পিকার মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: