ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

সময় ট্রিবিউন | ২৪ এপ্রিল ২০২১, ২২:৪১

ভারতের বর্ডার-ছবি: সংগৃহীত

অতিমারি করোনাভাইরাস থেকে দেশে সংক্রমণ রোধে আপাতত ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য নতুন হুমকি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। তিনবার রূপ পাল্টাতে সক্ষম এ নতুন ধরন ছড়াচ্ছে অতি দ্রুত। সেই সঙ্গে এটি তিন গুণ বেশি শক্তিশালীও।

আর তা সম্ভব না হলে ডাবল ডোজ টিকার সনদ নিয়েই বাংলাদেশে ঢোকা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বড় ঝুঁকি হতে যাচ্ছে দুটোভাবে। একটা হলো ভারতে যে অসংখ্য সংক্রমণ হচ্ছে সেখান থেকে এ সংক্রমণটা আমাদের দেশে আসতে পারে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। এটা হচ্ছে বড় ঝুঁকি।

এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের তাই পরামর্শ, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ তার। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ভারত থেকে বাংলাদেশে কেউ আসলে ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যে নিজেদের সমস্যা আছে করোনার, তারওপর ভারত থেকে এসে সমস্যাটা যেন বেশি গভীর না করে। সে ব্যাপারে আমাদের খুব মনযোগ দেয়া উচিত। ভারত থেকে আসলে তাকে দুই ডোজ টিকার সার্টিফিকেট দেখানো উচিত।

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি ভারতে যায় জরুরি প্রয়োজনে, সে ক্ষেত্রে তাকেও ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তার।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: