স্বর্ণ গলিয়ে ‘পাত’ বানিয়ে বিক্রি করতো তারা

সময় ট্রিবিউন | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:৩৩

সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ায় ০৬ সেপ্টেম্বর ১৯ টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ধারাবাহিক অভিযানে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারদের দুইজন ধানমন্ডির রাপা প্লাজার রাজলক্ষী জুয়েলার্সেও ডাকাতিতে জড়িত।

সিআইডি জানায়, ডাকাতিতে লুট করা স্বর্ণালংকার রাজধানীর তাঁতীবাজারে অবৈধভাবে বেচাকেনার সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে সিআইডির কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুট করা স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে স্বর্ণের পাত বানিয়ে তাঁতীবাজারে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি সিন্ডিকেট।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, ০৬ সেপ্টেম্বর রাতে আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট বাজারে ১৯টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩০-৪০ জন সশস্ত্র ডাকাত অলংকার এবং নগদ টাকাসহ সর্বমোট ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার লুট করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তে ১৫ সেপ্টেম্বর শাহানা আক্তার (২৪) নামে এক ডাকাতের স্ত্রীকে স্বর্ণ বিক্রির নগদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা ও আনুমানিক ৩-৪ ভরি স্বর্নসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আল মিরাজ মিন্টু (৩৮) ও কামাল খান (৩৯), আনোয়ার হাওলাদার (৩৯), দেলোয়ার হোসেন খলিফা ( ৩৬), আ. রহিম (৫৫), আল মিরাজ ওরফে মিন্টু (৩৮), কামাল খা (৩৯), মো. সাগর (৪০) এবং ডাকাতির মালামাল কেনার দায়ে সবুজ রায় (৩২) ও রহিমকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়।

এদের মধ্যে শাহানা, আনোয়ার, দেলোয়ার, সবুজ রায়, আ. রহিম, আল মিরাজ ও কামাল খাঁ আশুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে ঢাকার নয়াবাজার এলাকার রহিমের বাসা থেকে আশুলিয়া থেকে লুট হওয়া ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৪ লাখ টাকা।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ০৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডির রাপা প্লাজার রাজলক্ষী জুয়েলার্সে ডাকাতি করে প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আশুলিয়ার ঘটনায় গ্রেফতার সবুজ রায় ও রহিমসহ আরও ৫-৬ জন রাপা প্লাজায় ডাকাতির কথাও স্বীকার করেছেন। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নয়াবাজার এলাকার সবুজের বাসা থেকে রাপা প্লাজা থেকে লুট হওয়া ১২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ডাকাতির স্বর্ণালংকার তাঁতীবাজারে অবৈধভাবে বেচাকেনার সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে সিআইডির কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুট করা স্বর্ণের অলংকার গলিয়ে স্বর্ণের পাত বানিয়ে অবৈধ ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট রয়েছে তাঁতীবাজারে।

আশুলিয়া ও রাপা প্লাজায় ডাকাতি মামলার তদন্তে তাঁতীবাজারের চক্র চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: