বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ২১, রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সময় ট্রিবিউন | ১৬ আগষ্ট ২০২১, ০৫:২১

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।

রোববার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশু ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এর ক্লাস্টার ৫৪ এর বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে আব্দুল হাফেজ (১০)।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ট্রলারডুবির ঘটনায় আবদুর রহমান (৩২) নামের জীবিত আরেক রোহিঙ্গার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীরহাটে এক ব্যক্তির আশ্রয়ে আছেন। এ পর্যন্ত ১৫ জন জীবিত এবং ১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবদুর রহমানের (৩২) ৫ সন্তানসহ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২১।

আবদুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ভাসানচর থেকে ট্রলারে ওঠেন তিনি, তার স্ত্রী ও ৫ সন্তান। পরে রাতে ট্রলারটি ২ ঘণ্টা চলার একপর্যায়ে ঝড়ে সাগরে উল্টে যায়। তখন তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ট্রলারের সবাই সাগরে ডুবে যান।

তিনি আরও জানান, সাগর তাকে ভাসতে দেখে একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে। এ সময় তার স্ত্রীকে সহ ১১ জনকে উদ্ধার করে আরেকটি ট্রলার ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। আর তাকে উদ্ধার করা ট্রলারটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার কাছে নামিয়ে দিয়েছেন। পরে তিনি কেরানীরহাট এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে নৌকাডুবির পর আশপাশের মাছ ধরার নৌকায় থাকা জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে নৌকায় ৩৭ থেকে ৩৮ জন ছিল। আজকে একটি শিশুর মরদেহ ও একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রোববার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। উদ্ধার অভিযানে আব্দুল হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ভাসানচর থানা হেফাজতে আছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা-বোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: