ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি মিলেছে: বিস্ফোরক অধিদপ্তর

সময় ট্রিবিউন | ২৮ জুন ২০২১, ২১:১৭

ছবি : ইন্টারনেট

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এটি কোনো সাধারণ বিস্ফোরণ নয়। ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি মিলেছে। বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জমে এ বিস্ফোরণ হতে পারে। সোমবার মগবাজারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের তিনজন পরিদর্শক পরিদর্শন করে গেছেন। আজ আমরা গ্যাস ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষা করে ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের অস্তিত্ব পেয়েছি, যা প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থাৎ সরকারিভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। শুধু গ্যাস থেকে এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনা অস্বাভাবিক। তদন্ত সাপেক্ষে আসল কারণ জানা যাবে। তারা তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আড়ং, বিশাল সেন্টারসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ ভেঙে পড়ে। পরে দেখা যায়, আড়ংয়ের উল্টো দিকে আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা ভবনটির প্রায় ধসে পড়ার দশা হয়েছে। ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মিশে গেছে। লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, ভবনের বিভিন্ন অংশ ছিটকে এসেছে রাস্তায়।

ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতজনের মৃত্যুর কথা সাংবাদিকদের জানান। এ ঘটনায় আহত ও দগ্ধ হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ, যারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: