গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অফিসগামীদের দুর্ভোগ

সময় ট্রিবিউন | ২৮ জুন ২০২১, ১৯:১৭

সংগৃহীত

সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রেখে শুরু হয়েছে তিনদিনের সীমিত বিধিনিষেধ (লকডাউন)। রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। পায়ে হেঁটে চলছেন অনেকেই। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে তাদের ভিড় দেখা গেছে। কিন্তু কোথাও বাসের দেখা নেই। রাস্তায় রিকশার সংখ্যা কম থাকায় চালকরা ভাড়াও বেশি হাঁকাচ্ছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজটের দৃশ্যও দেখা গেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গণপরিবহনের উপস্থিতি দেখা না গেলেও সড়কগুলো ছিল প্রাইভেট কার ও রিকশার দখলে।

লকডাউনের সময় সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোকে তাদের কর্মী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও বহু প্রতিষ্ঠানই তা বাস্তবায়ন করেনি। ফলে অফিসগামীদের মাঝে ভোগান্তির সেই পুরোনো চিত্রই ফুটে উঠছে।

রাজধানীর মিরপুর, শুক্রাবাদ, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত মোড়, শাহবাগ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, জাতীয় প্রেসক্লাব, নীলক্ষেত, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, আসাদ গেট, বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গণপরিবহনের অভাবে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।

সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যবাহী যান চলাচল করছে রাজধানীতে। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকে বাধ্য হয়ে এসব যানবাহনেও উঠেছেন।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোববার (২৮ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে তিনদিনের সীমিত বিধিনিষেধ (লকডাউন)। আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে।

রোববার নতুন যেসব বিধিনিষেদ আরোপ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে-

১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে।

৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।

৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরো প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (২৭ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪ হাজার ১৭২ জন হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল দেশে একদিনে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: