পররাষ্ট্রমন্ত্রী

"বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়েছেন বলেই সারাবিশ্বের কাজের আগ্রহ"

সময় ট্রিবিউন | ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৮:০৬

"বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়েছেন বলেই সারাবিশ্বের কাজের আগ্রহ"

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন বলেই বিশ্বের সকল দেশ বাংলদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অভ কালচার মিলনায়তনে শনিবার বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম এবং বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সম্বর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল হকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাসেম, ড. ফারুক মির্জা, মোতাহার চৌধুরী, মনির হোসেন পলিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং বিএনপি-জামাতের 'পলিটিক্স অভ ডিনায়াল' এবং 'পলিটিক্স অভ কনফ্রন্টেশন' অর্থাৎ সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি যদি না থাকতো, তাদের জ্বালাও-পোড়াও যদি না থাকতো, দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেত।

এ সময় রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদেরকে সবসময় বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রবাসী বক্তারা তাদের বক্তব্যে বেলজিয়ামে দীর্ঘ সময় অধ্যয়নকারী ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বাংলাদেশ কমিউনিটি বেলজিয়াম ও বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ফুল ও সম্বর্ধনা স্মারক দিয়ে অভিষিক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন ড. হাছান। ফোরামে বক্তৃতার পাশাপাশি তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস, কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এবং দশটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: