নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে এক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সময় ট্রিবিউন | ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৫২

নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে এক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বকে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ৫টি প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, বলেন, স্যাংশন পাল্টা স্যাংশনের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চল গুলোতেও পড়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৩ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। এর আগে, ভারতের আয়োজনে ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের করুণ, অমানবিক অস্তিত্বে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সংঘাতের অবসান দাবি করার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, আস্থার ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব রয়েছে। যা ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার দিকে পরিচালিত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ব অসহনীয় দারিদ্র্য, অবাঞ্ছিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর হুমকিতে জর্জরিত। গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান কষ্টসহ এখন নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা উপস্থিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন যে, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, যদিও এটি প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের সাথে খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং বিশ্বের উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশ করেছেন।

ভারত এর আগে ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট আয়োজন করেছিল ২০২৩ সালের ১২ ও ১৩ জানুয়ারি। ওই উদ্যোগে গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশ এক সঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরেছিল।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: