ডিবির বরখাস্ত ওসি তৃতীয় দফায় রিমান্ডে

সময় ট্রিবিউন | ২৩ আগষ্ট ২০২১, ০২:৪৯

সাইফুল ইসলাম-ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় ফেনী পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ খান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাইফুল ইসলামকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাকে আবার তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছি। এবার জিজ্ঞাসাবাদে আশা করি বাকি পাঁচটি স্বর্ণবার উদ্ধার করতে পারব।

ফেনীর এসপি জানান, এর আগে গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি। ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবির ওই সদস্যরা তার গাড়ি থামান। ওই সময় তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় গোপাল এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রথমে পুলিশ চারজনকে আটক করে। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী আরও দুজনকে আটক করা হয়। সেদিন রাতে গোপাল ওসি সাইফুল, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানার নামে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর পুলিশ দুই দফায় ওসিকে চারদিন করে আটদিনের রিমান্ডে পায়। বাকিদের দুই দফায় তিনদিন করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ ঘটনায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।

গত ১৭ আগস্ট পুলিশের গাড়ি চালক মঈনুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন তুহিন আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, স্বর্ণ ডাকাতির পর ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসকে ফেনীর সীমানা পার করে দেন ওসি সাইফুল। তার সঙ্গে ছিলেন এসআই মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক।

ওই ব্যবসায়ী যাতে অন্য কোনো পুলিশ সদস্যের হাতে আটক না হন তা নিশ্চিত করতেই এই কৌশল নেন তারা।

এই ঘটনায় পুলিশ ডিবির সোর্স ছমদুল করিম ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানান, স্বর্ণবারের ভাগ পাওয়ার শর্তে তিনিই পুলিশকে গোপালের তথ্য দিয়েছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: