রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে পেছালো ফখরুলের জামিন শুনানি

সময় ট্রিবিউন | ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:০৬

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে পেছালো ফখরুলের জামিন শুনানি

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পিছিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে তার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। সময়ের আবেদনে বলা হয়, মহানগর পাবলিত প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ। তাই আজ শুনানি পেছানো হোক।

অন্যদিকে ফখরুলের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন ও মাসুদ তালুকদার শুনানিতে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মৌখিকভাবে শুনানির জন্য আবেদন করেছে। আপনি দয়া করে মঙ্গলবার বা বুধবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আদালতে শুনানির তারিখ দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান বিএনপির আইনজীবীরা। এসময় বিচারক বলেন, আপনারা রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শুনানি কবে করতে পারবে জানান। পরে শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এদিন রাতে তাকে ডিবি অফিস থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অন্যদিকে ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ জামিন আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। আসামিরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।

ফখরুল ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: