আফগানিস্থানে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের বর্তমান অবস্থা কি!

সময় ট্রিবিউন | ২৩ আগষ্ট ২০২১, ১৫:১৩

ছবিঃ সংগৃহীত

তালেবান বাহিনীর কাবুল দখলের পর সেখানকার প্রধান কারাগার খুলে দিয়েছে। ফলে বন্দিরা অনায়াসে বের হযে গেছে। তাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে দূতাবাস। এদের মধ্যে ২ জন মার্কিন বিমানবাহিনীর বিমানে করে কাবুল থেকে কাতারে পৌঁছেছে। এছাড়া ব্র্যাকের তিনজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কাজাখস্তানে। এই পাঁচজন দু’একদিনের মধ্যে ঢাকায় ফিরবেন।

আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত ২৮ জন বাংলাদেশির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে দেশটির কূটনৈতিক মিশনের দায়িত্বে থাকা উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস। আটকে পড়া অন্যান্য বাংলাদেশিরাও আগামী সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রোববার (২২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফেরানো হবে।

উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম ‘সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আফগানিস্তানে ২৮ জন বাংলাদেশির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুইজন মার্কিন বিমানবাহিনীর বিমানে করে কাবুল থেকে কাতারে পৌঁছেছে। এছাড়া ব্র্যাকের তিনজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কাজাখস্তানে। এদের মধ্যে ব্র্যাকের তিন কর্মকর্তা মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) কাজাখস্তান থেকে ঢাকা রওনার কথা রয়েছে। কাতার থেকে দুই বাংলাদেশিও ঢাকায় ফিরবেন। এছাড়া জার্মান বাংলাদেশ যৌথ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুইজনের ভিসা হয়ে গেছে, তারা উজবেকিস্তান হয়ে দেশে ফিরবে। আফগানিস্তানে অন্যান্য বাংলাদেশিরাও আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছি।’

বাকি দু’জনের কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কিনা- জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর বলেন, ‘একজন জেল থেকে বেরিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর বাইরে বাকি যে দু’জনের কথা শোনা যাচ্ছে, তাদের অবস্থান আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’

রাষ্ট্রদূত জানান, কাবুলে অবস্থানরত ব্র্যাকের অন্য তিন কর্মকর্তা, আফগান ওয়্যারলেসে কর্মরত সাত প্রকৌশলী, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী জালালাবাদ শহরে থাকা তাবলিগ জামাতের ছয়জন কর্মী, একজন প্রকৌশলী কাবুলে, আরও দুইজন প্রকৌশলী কাবুলের কূটনৈতিক জোনে, কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া এক বাংলাদেশি এবং মাজার-ই-শরিফে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক বাংলাদেশিকে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: