গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাল জি-৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৮ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৫০

গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাল জি-৭

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ৩২ দিনের মাথায় ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর পথ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি–৭ (গ্রুপ অব সেভেন)। খবর এএফপির

বুধবার (৮ নভেম্বর) জাপানের রাজধানী টোকিওতে জোটভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সম্মেলন থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতি দিয়ে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। জি–৭–এর সাত সদস্য দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও জাপান।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজায় মানবিক সংকটের দ্রুত অবনতির বিষয়টি সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। আমরা মানবিক দিক বিবেচনায় সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির পক্ষে। একই সঙ্গে (গাজায়) জরুরি ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো, বেসামরিক মানুষদের চলাচল ও (হামাসের কাছে) জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য একটি পথ (করিডর) তৈরি করার পক্ষে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিবৃতিতে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ, বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে মূল উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা উচিত নয়, এখনও নয়, যুদ্ধের পরেও নয়। সন্ত্রাসবাদ বা অন্যান্য সহিংস হামলার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গাজাকে ব্যবহার না করা এবং সংঘাত শেষ হওয়ার পরে গাজা পুনর্দখল না করার আহ্বান।’

তবে টোকিওতে দুই দিনের এ সম্মেলন শেষে জোটের পক্ষে সাধারণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়নি। একই সঙ্গে জোটের পক্ষে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৬৯ জনে। যাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জন শিশু। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ২৩ লাখ গাজাবাসীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বাস্তুহারা হয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: