ধনী দেশেও বিদ্যুৎসংকট চরমে

সময় ট্রিবিউন | ২১ জুলাই ২০২২, ০০:৫৭

সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকেও এর দুর্ভোগ নিতে হচ্ছে, ফলে সরকার ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে এমন অবস্থা শুধু বাংলদেশেই নয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও বিদ্যুৎসংকটে ভুগছে।

অস্ট্রেলিয়ায় মাসখানেক আগে থেকেই প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট শুরু হয়েছে। দেশটিতে লাখ লাখ নাগরিকের বাসাবাড়িতেই নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে দেশটির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জানিয়ে দিয়েছে, নিউসাউথওয়েলস ও তাসমানিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হবে।

অস্ট্রেলিয়ার স্মরণকালের সবচেয়ে তীব্র বিদ্যুৎসংকট সামাল দিতে দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন ও শক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বাউন জনগণকে সাশ্রয়ী ও সংযমী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে রুশ গ্যাস সরবরাহে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় ইউরোপের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানির শিল্প-কারখানাগুলো ভবিষ্যৎ হুমকিতে পড়েছে। এমনকি সামনের শীতে নাগরিকদের বাড়িঘর গরম রাখতে বাড়তি বিদ্যুতের জোগান দেয়া সম্ভব হবে কি না তাও ভাবছে দেশটি।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকেই হাঁটছে জার্মানি। দেশটির অর্থমন্ত্রী রোবার্ট হাবেক এই সংকটকে স্মরণকালের অন্যতম আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম কাঁচামাল গ্যাস রপ্তানি কমিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ফের সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এদিকে বাড়িঘর ঠান্ডা রাখতে নাগরিকদের কাঠ ব্যবহার করার অনুরোধ করেছে পোল্যান্ড সরকার এবং নাগরিকরা, যাতে সহজেই কাঠ সংগ্রহ করতে পারে, তার জন্যও ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির সরকার। কয়লাসংকটের কারণেই এমন পদক্ষেপ।

সামনের শীতকে কেন্দ্র করে রুশ গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু ও জ্বালানিমন্ত্রী রব জেটেন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ওপর সব বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শুধু বিদ্যুৎসংকটই নয়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট ও মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ না থামলে ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা না উঠলে শিগগিরই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সুযোগ নেই।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: