‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় ৯৮ শতাংশের অ্যান্টিবডি’

সময় ট্রিবিউন | ৩ আগষ্ট ২০২১, ০১:২৯

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা-ফাইল ছবি

অতিমারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের প্রায় সবার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়।

গবেষকরা বলছেন, টিকাগ্রহণকারীদের ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। বাকি ২ শতাংশ আগে থেকেই ’ইমিউন কম্প্রমাইজড’ ছিলেন।

সোমবার ‘হেমাটোলজিক্যাল প্যারামিটার্স অ্যান্ড অ্যান্টিবডি টিটার আফটার ভ্যাকসিনেশন এগেইনস্ট সার্স-কোভ-২’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো গবেষকদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহণকারী ২০৯ জনের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ এবং অর্ধেকের বেশী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সাথে জড়িত। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের আগে করোনা পজিটিভ হয়েছিল।

গবেষকদলের সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালাহউদ্দীন শাহ বলেন, এ গবেষণার স্বেচ্ছাসেবীদের অর্ধেকের বেশি আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। তবে এ ধরনের রোগের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকা গ্রহণের পর অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি।

অধ্যাপক সালাউদ্দীন বলেন, টিকা দেওয়ার পর রক্ত জমাট বাধা বা এরকম জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা বিভিন্ন বিদেশি গবেষণায় উঠে এলেও সেরকম কোনো সমস্যা তারা এ গবেষণায় পাননি।

যারা আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক অ্যান্টিবডির মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

গবেষকদল বলছেন, সময়ের সাথে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরিবর্তন এবং পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য টিকার অ্যান্টিবডি তৈরির কার্যক্ষমতা পর্যালোচনার জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গবেষক দলে আরও ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। এ পর্যন্ত যারা টিকা পেয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন।

এখন চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম এবং কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার টিকাও দেওয়া হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: