যশোরে হোটেল-রেস্তোরাঁর পানিতে অণুজীব শনাক্ত: গবেষণা

সময় ট্রিবিউন | ২৯ জুলাই ২০২১, ০৬:৫০

ছবিঃ সংগৃহীত

যশোর শহরের বেশিরভাগ হোটেল, চায়ের দোকান ও রেঁস্তোরায় সরবরাহ করা খাবার পানি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব পানিতে অণুজীবের উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।গবেষক দলটি পৌর এলাকার ৩৫টি চায়ের দোকান, রাস্তার পাশের ফাস্টফুডের দোকান, সাধারণ রেস্তোরাঁ ও সজ্জিত রেস্তোরাঁর পানির নমুনা সংগ্রহ করে গুণগত মান যাচাই করে।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, নমুনাগুলোর পানির অস্বচ্ছতা (টার্বিডিটি), বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, পিএইচ (Ph), মোট দ্রবীভূত দ্রবণ, নাইট্রেট, সালফেট, ফসফেটের মানসমূহ বাংলাদেশ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত সীমার মধ্যে থাকলেও বেশ কয়েকটি নমুনায় ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে বেশি ছিল। এছাড়া ৪৬% নমুনায় লৌহের ঘনত্ব বাংলাদেশ অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়েছে।পাশাপাশি বেশিরভাগ নমুনায় ফিকাল কলিফর্মের (স্তন্যপায়ী প্রাণীর পেট থেকে মলমূত্রের মাধ্যমে বা মৃতদেহ পচে জলে বা মাটিতে মেশা বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া) মাধ্যমে দূষিত হয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশের ফাস্টফুডের ও ফুসকার দোকানগুলোতে সরবরাহ করা পানি জৈবিকভাবে সবচেয়ে বেশি দূষিত। এসব পানি পানে রোগজীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থেকে যায়।

গবেষণা দলের প্রধান যবিপ্রবির ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের (ইএসটি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা বলেন, মূলত এইসব দোকানগুলো বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মানুষের সংস্পর্শ, নিয়মিত পরিষ্কারের অভাব ও পশুপাখির মল থেকে ফিকাল কলিফর্মের মাধ্যমে দূষিত হয়।

তিনি বলেন, এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ঢাকনাযুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানির পাত্র, চায়ের দোকানগুলোতে পানি উত্তোলনের জন্য লম্বা হাতলবিশিষ্ট পানিরপাত্র ব্যবহারসহ নিয়মিত পানির পাত্রগুলোকে ডিটারজেন্ট দিয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ভালো করে পরিষ্কার করতে পারেন।

গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলগুলো Springer Publication এর Applied Water Science জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন যবিপ্রবি ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষেদের ডিন এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের (ইএসটি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা। 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: