বিশ্ব ইমোজি দিবস আজ

সময় ট্রিবিউন | ১৭ জুলাই ২০২১, ২১:৩২

ছবি : ইন্টারনেট

১৭ জুলাই বিশ্ব ইমোজি দিবস। অনেকেই হয়তো জানেন না। অথচ দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ইমোজিই। রকমারি অনুভুতির মুখ। এক কথায় সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোশনাল মেসেজ বলা যায় ইমোজিদের। কখনো কাঁদছে , কখনো হাসছে , কখনো রেগে যাচ্ছে আবার কখনো ভালোবাসা ঝরে পড়ছে।

১৯৯৯ সালে প্রথম তৈরি হয়েছিল ইমোজি। এই নিয়ে অবশ্য দ্বিমত আছে। অনেকেই দাবি করেন ১৯৯৭ সালে তৈরি হয়েছিল প্রথম ইমোজি। এক জাপানি শিল্পী সিগেতাকা কুরিতাকেই ইমোজির স্রস্টা বলে মনে করা হয়।

জাপানি শব্দ ছবি এবং অনুভুতি (মোজি) এই দুটি শব্দ মিলিয়েই তৈরি হয়েছে ইমোজি। মোবাইলের দৌলতে সেই ইমোজি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ২০০০ সালে। এখন বেশ জনপ্রিয় বাবল এআই নামে এক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার দৌলতে ভারতে ছড়িয়ে পড়ে ইমোজি। প্রথমে খুব কম সংখ্যক ইমোজিই পাওয়া যেত। পরে তা আরো তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইমোজি এখনও স্মাইলি।

প্রথমের দিকে একাধিক ইমোজি বাজারে ছড়িয়ে পড়লেও সবগুলোর অর্থ স্পষ্ট ছিল না। এগন গুগলে সার্চ দিলেই সব ইমোজির অর্থ সহজেই জানা যায়। এতটাই জনপ্রিয় এই অনুভূতির ছোট্ট চিহ্নটি। ১৭ জুলাইকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসেবেই পালন করা হয়।

আসলে এই দিনটি বিশ্বের বৃহত্তম ইমোজি ওয়েব স্টোরের সূচনা করে ’emojedia.org’এর প্রতিষ্ঠাতা দ্বারা জেরেমি বুর্গ। ইমোজি দিবস হিসেবে ১৭ জুলাই বেছে নেওয়ার কারণ হলো, এই দিনে ইমোজি তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল ক্যালেন্ডার ইমো। ২০১৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বিশ্ব ইমোজি দিবস উপলক্ষে এর প্রবর্তনকারী জেরেমি বার্গ বলেন, ইউনিকোড কমিটির কাছে প্রতি বছর নতুন ইমোজির স্বীকৃতির জন্য অসংখ্য অনুরোধপত্র আসে। তবে সবগুলোকে বিবেচনা করা সম্ভব হয় না। আমাদের নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করা ইমোজিগুলোই স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।

ইমোজির আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৯০ এর দশকে। এরপর অনেক সময় কেটে গেলেও অবশেষে ২০১১ সাল থেকে আইফোন ব্যবহারকারীরা এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। বর্তমানে অফিসিয়াল ইউনিকোড স্ট্যান্ডার্ড লিস্টে ২ হাজার ৬৬৬টি ইমোজি রয়েছে।

এর মধ্যে অবশ্য সবগুলো সমানভাবে ব্যবহার হয় না। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে লাফ-ক্রাই ইমোজি। অর্থাৎ অতি হাসির কারণে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে এমন ইমোজিটিই ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনের চেয়ে বেশি পাঁচ বিলিয়ন ইমোজিগুলো সারা বিশ্বে লোকেরা ব্যবহার করে চ্যাটিং।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: