সৈয়দ আশরাফের ম্যুরাল ভাঙচুর

সময় ট্রিবিউন | ৩০ জুলাই ২০২১, ১৭:৪২

বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়া বাজারের নরসুন্দা নদীর ব্রিজ সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্ত্বরে থাকা সৈয়দ আশরাফের ম্যুরালটি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা-ছবি সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়া বাজারের নরসুন্দা নদীর ব্রিজ সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্ত্বরের ম্যুরালটি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এদিকে ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল ও পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, আমাদের আবেগ ও অনুভূতি, ভালোবাসার মানুষ আশরাফ ভাইয়ের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে, এটা মেনে নিতে পারছি না। এই অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যারা সৈয়দ আশরাফের ম্যুরাল ভাঙেছে চেষ্টা করেছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সৈয়দ আশরাফুল মুজিব বাহিনীর সদস্য হয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। পিতার মৃত্যুর পর সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান। ১৯৯৬ সালে আশরাফুল দেশে ফেরেন এবং সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তীতে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি মৃত্যুরপূর্ব পর্যন্ত তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: