আতঙ্ক নয়, সচেতন হোন

মাহবুবা তমা | ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৫৬

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যা দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রথম শনাক্ত হয়। সে দেশটি সহ বিশ্বের আরো ৪০ টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে এটি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ওমিক্রন কি ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও বেশি সংক্রমণশীল, সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে কিনা এবং কোভিড টিকাকে ফাঁকি দিতে পারে কিনা- বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে এখনো গবেষণা করে যাচ্ছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক উনবেন বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগেরই উপসর্গ মৃদু। মৃদু জ্বর, শুকনা কাশি, রাতে ঘাম এবং গায়ে প্রচন্ড ব্যাথার মতো উপসর্গ রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীর চিকিৎসা বাড়িতেই নেয়া সম্ভব। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বমি বমি ভাব বা বমি হয়, কখনো স্পন্দনের হার বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে স্বাদ ও গন্ধ চলে যায় না।

বাংলাদেশের যে কোন জায়গায়, বিশেষ করে জনসমাগম হয় সে সব জায়গায় - যেমন বাজার, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন সব জায়গায় এতো এতো মানুষ, কারো মুখে মাস্ক নেই। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রয়াস। সচেতনতার বড় অভাব দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষদের মধ্যে। গুটিকয়েক লোকজন মাস্ক পরিধান করলেও বাকি অধিকাংশই লাগামহীন মাস্কবিহীন চলাচল করছে।

বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক থেকে শুরু করে বর্তমানে কিশোরদেকে করোনা টিকা আওতায় নিয়ে এসেছে, যা- অতন্ত্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও অনেককের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অতন্ত্য জরুরি। পথচারীদের জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলেন, আমরা তো ভ্যাকসিন নিয়েছি, মাস্ক পরার কি দরকার! এসব কথা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে পারবে না। কারণ, টিকা নেওয়ার পরেও অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারাও গেছেন।

তাই সর্বস্তরের সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা অতন্ত্য জরুরি। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সাথে মোকাবেলায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।তাই আতঙ্ক নয় সচেতনতাই হবে জয়।

লেখাঃ মাহবুবা তমা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: