প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে চায় মেধাবী দীপ্ত

জবি প্রতিনিধি | ২৮ মে ২০২৩, ০৫:৪৮

ছবি- সংগৃহীত

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাণিজ্য বিভাগের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (২৭ মে)। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। তার নাম দীপ্ত বিশ্বাস। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও মেধাবী এই শিক্ষার্থী জয় করেছেন সকল প্রতিবন্ধকতাকে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে কাজ করতে চান দেশের জন্য।

শনিবার (২৭ মে) সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে শ্রুতি লেখকের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেন দীপ্ত বিশ্বাস।ভর্তি পরীক্ষা শেষে কথা হয় দীপ্ত বিশ্বাস ও তার মা দিপীকা সরকারের।

দীপ্ত বিশ্বাসের মা দিপীকা সরকার জানান, চার বছর বয়সে দীপ্ত বিশ্বাসের ব্রেটিলাতে স্পট ধরা পরে। তখন থেকেই দূরের লেখাকে স্পষ্ট দেখতে পারেনা দীপ্ত। ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতেও সমস্যায় ভুগতে হতো তাকে। তখন থেকেই চিকিৎসা করালেও কোনো লাভ হয়নি। বরং দিনে দিনে দৃষ্টি শক্তি কমেছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি জানান, এটি দীপ্ত বিশ্বাসের জীনগত সমস্যা। কোনো প্রকার চিকিৎসায় লাভ হবেনা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

দীপ্ত বিশ্বাসের বাড়ি পুরান ঢাকার নারিন্দায়। কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। বাণিজ্য বিভাগের সি ইউনিটের পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিয়েছে দীপ্ত। শ্রুতি লেখকের নাম মো. সাব্বির ইসলাম।

ছোটবেলা থেকেই শ্রুতি লেখকের সাহায্য নিয়ে সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এসেছেন বলে জানান দীপ্ত বিশ্বাস। ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশের সেবায় কাজ করতে চান তিনি।

দীপ্ত বিশ্বাস বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। কিছু প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছে। শ্রুতিলেখক থাকায় পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যা হয়নি। আশাকরি ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ ববস্থায় দীপ্ত বিশ্বাসের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরণের অসুবিধা যাতে না হয় সেজন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: