পাবিপ্রবিতে ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

সময় ট্রিবিউন | ২৮ জানুয়ারী ২০২২, ১১:৫০

বৃহস্পতিবার পাবনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ। ছবি সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম রস্তম আলির বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার পাবনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসবের অভিযোগ তুলেন গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ।

তাই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ড. হারুনুর রশিদ জানান, গণিত বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৭ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। নিয়োগ বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবে সেদিন নিয়ম অনুযায়ী তিনি সকালে নিয়োগ বোর্ডে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়।

এ সময় ভিসির নির্দেশে তাকে কর্মচারীরা লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য বলেন, 'ড. হারুনের স্ত্রী নিয়োগ পরীক্ষায় একজন প্রার্থী। তাই তাকে নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত না থাকতে বলা হয়েছিল। রেজিস্টার অফিস থেকে তাকে ফোন করা হয়েছিল এবং আমি নিজেও ড. হারুনকে বলেছিলাম। নিয়োগ পরীক্ষার স্বচ্ছতার স্বার্থেই তাকে নিয়োগ বোর্ডে থাকতে দেওয়া হয়নি।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. হারুন বলেন, 'আমার স্ত্রী নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী হওয়ায় গত ২৫ জানুয়ারি আমি লিখিতভাবে পরীক্ষায় প্রশ্ন করা ও খাতা মূল্যায়নের কাজ থেকে বিরত থাকার বিষয়টি জানাই। আমার কোনো নিকট আত্মীয় ভাইভা বোর্ডে গেলে প্রয়োজনে আমি সেখানে উপস্থিত থাকবো না বলে জানিয়েছি।'

তিনি বলেন 'নিয়োগ বোর্ড থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে আমাকে কোনো চিঠি না দিয়ে মৌখিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে।'

ভিসির পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সেকশন অফিসার পদে পরীক্ষা দেওয়া আতিকুল ইসলাম নামে এক চাকরি প্রার্থী জানান, গত জুন মাসে সেকশন অফিসার পদে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, লিখিত পরীক্ষায় তিনি টিকেছিলেন। তবে মৌখিক পরীক্ষা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

ভিসির ভাইজিকে চাকরি দিতে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, 'নিয়ম মেনেই আমার ভাইজিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। চাকরি না পেয়ে এখন তারা এসব অভিযোগ করছে।'

উল্লেখ্য, বর্তমান ভিসির নিয়োগের সময়সীমা প্রায় শেষ হয়ে পড়ায় শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন পদে তিনি নিজের পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ করতে গিয়ে নানা অনিয়ম করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে।

তবে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সকল নিয়োগ সম্পন্ন হচ্ছে বলে দাবি করেন ভিসি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: