‘টাকার ব্যাগ’ আর ‘পিস্তল’ রেখে শাবি ভিসির কুশপুত্তলিকা

সময় ট্রিবিউন | ২০ জানুয়ারী ২০২২, ০১:৫২

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে উপাচার্যের বাসার সামনে এই কুশপুত্তলিকাটি রেখেছেন তাঁরা-ছবি সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে তাঁর একটি কুশপুত্তলিকা তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। মাথার অংশে রয়েছে উপাচার্যের ছবি। কুশপুত্তলিকার এক হাতে প্রতীকী টাকার ব্যাগ এবং অন্য হাতে আছে প্রতীকী পিস্তল। বাঁশ ও পাটের বস্তা দিয়ে বানানো কুশপুত্তলিকাটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রাখা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা কুশপুত্তলিকাটি তৈরি করেছেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসার সামনে অবস্থান করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আবার তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন।

গত সোমবার থেকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে গতকাল রাতে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোহাইমিনুল বাশার।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও মেসভাড়ায় কোনো ছাড় না দেওয়াসহ একাধিক ‘অন্যায্য’ সিদ্ধান্তে অনেক দিন ধরে তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। হলের ছাত্রীদের বিক্ষোভ শুরুর পর সেই ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও জোরালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: