গলাচিপায় আইপিএম পদ্ধতিতে বেগুন উৎপাদন শীর্ষক মাঠ দিবস

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:১১

ছবি

পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী গ্রামে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) পদ্ধতিতে বিষমুক্ত নিরাপদ বেগুন উৎপাদন শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। ইউএসএআইডি মিশন এর সাহায্যপুষ্ট আইপিএম এক্টিভিটি বাংলাদেশ রোববার বিকেলে উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আটখালী গ্রামের শতাধিক কৃষক ও কৃষানী উপস্থিত ছিলেন।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় ও উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাবেয়া বেগম। আইপিএম এক্টিভিটি বাংলাদেশের মাঠ সহায়ক মো. মাহাবুব আলমের সঞ্চালনায় উক্ত মাঠ দিবসে বক্তারা বলেন বেগুন বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি সবজি কিন্তু পোকা-মাকড় ও রোগের আক্রমনে বিশেষ করে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারি পোকার আক্রমন ও ঢলে পড়া রোগের আক্রমণে প্রায় ১৬-৭৮% ফলন কমে যায়।

কীড়াগুলো কচি ডগা ছিদ্র করে ভিতরের নরম অংশ খায়, ফলে আক্রান্ত ডগা ঢলে পড়ে এবং শুকিয়ে মরে যায়। ফল ধরা শুরু হলে এদের আক্রমণ সাধারণত ফলের মধ্যে বেশি হয়। কীড়া ফল ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে ভিতরের নরম অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে ফল পচে যায় এবং খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

কৃষকগণ কচি ডগা ও ফল ছিদ্রকারি পোকাসহ বেগুনের অন্যান্য ক্ষতিকর পোকা যেমন, সাদা মাছি, জাসিড, জাবপোকা, থ্রিপস ও মাকড় এবং ঢলে পড়া, কান্ড ও ফল পঁচা রোগ দমনের জন্য ব্যাপকভাবে রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করে যা টেকসই নয়, খরচ বেশি এবং মানব স্বাস্থ্য, মাটি, পানি ও সার্বিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ।

সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) পদ্ধতিতে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে লাভজনকভাবে বেগুন উৎপাদন কৌশল চর্চা ও টেকসই করার জন্য প্রকল্পের পক্ষ থেকে কৃষকগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।

প্রশিক্ষিত কৃষকগণ ক্ষতিকর রোগ ও পোকা ব্যবস্থাপনার জন্য রাসায়নিক বালাইনাশকের পরিবর্তে ট্রাইকোকম্পোস্ট, ফেরোমোন ফাঁদ, হলুদ / নীল/ সাদা আঠালো ফাঁদ, জৈব কীটনাশক, জৈব রোগনাশক পাশাপাশি তারা বিটি বেগুন চাষ করে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণনিয়ন্ত্রণ করেছেন।

কৃষেকরা জানান, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার এ ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় খরচ অনেক কম হয়েছে। এমনকি ফলনও অনেকসন্তোষজনক হয়েছে। অল্প খরচে এসব সবজি উৎপাদন করতে পেরে খুশি কৃষক।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: