ফরিদপুর ৩ আসন;

আ. লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে আসন

বিশেষ প্রতিনিধি | ১৮ মে ২০২৩, ২১:২০

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুর বেশ কিছু দিন ধরে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে। এর একটি অংশে নেতৃত্বে দিচ্ছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ। অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একে আজাদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাবু বিপুল ঘোষ ও জেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা মো. ফারুক হোসেন।

এ রাজনৈতিক দুই উপগ্রুপ এখন মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। গ্রুপিংয়ের ব্যাপারটি এখন ফরিদপুরে ‘টক অব দ্যা টাউন’ এ পরিণত হয়েছে যা দৃশ্যমান।

জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিস্তার লাভ করছে দলীয় এ কোন্দল। ফরিদপুরের এই আসনটি (সংসদীয় আসন ৩) রাজনৈতিক ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামী লীগের হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা আরো বলেন, এতে বিরোধী দলের জন্য রাজনৈতিক সুবিধা পাবার সম্ভাবনা থেকে যায়।

তবে, সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কথা বললেও আওয়ামী লীগের দুই নেতা তাদের মাঝে গ্রুপিং নেই বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ জানান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং আমি সাধারণ সম্পাদক মিলে মিশে দলের সকল কে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছি এবং এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় লাভের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এ কে আজাদ সাহেব আলাদা একটি প্লাটফর্ম করার চেষ্টা করছেন।

অপর দিকে এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফারুক হোসেন জানান, আমরা এ কে আজাদকে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দলের সাথে সম্পৃক্ত রাজপথের দুর্দিনের নেতা কর্মীরা যারা তাহারা আমাদের সাথে আছে। তাদেরকে নিয়ে আমরা আওয়ামী রাজনীতির শক্ত অবস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, এই আসনটি এক সময়ের বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। ফরিদপুর এই আসন থেকে প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে একাধিকবার মন্ত্রীও হয়েছিলেন।

ওয়ান ইলেভেনের পরে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন ৩ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়ে দুই বার মন্ত্রী হয়েছিল। বতর্মানে তিনি এ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: