বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নামে কোরবানী দিবেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি 

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী | ১০ জুলাই ২০২২, ০৮:০১

সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে দুটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি করা হবে। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এ কুরবানি দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর।  

গত তিন বছর তিনি ধরে তিনি এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বলে জানান জেলা আওয়ামীলীগ সূত্র। 

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে কুরবানি দেয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে অণ্য রকম এক আবেগ লক্ষ করা যায়।

জেলা আওয়ালীগ সুত্র জানায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে গত তিন বছর পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন নিজের নামে নয় বরং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে দুটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানী দিয়ে আসছেন। তার এই কর্মকাণ্ডকে জেলার সাধারণ নেতা কর্মীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির একমাত্র পুত্র ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক কাজী নূরে আলম শাওন জানান,তাদের পরিবারে প্রত্যেকের নামেই কুরবানি হয়। তার মা এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা,তার স্ত্রী ডা: কাজী সাঈদা নাসরিন সুমী,বড় বোন ও শেরে বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষক কাজী জেবুন্নেছা আকুল ও তার ভগ্নিপতি মৌকরণ বিএলপি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো.জসিম উদ্দীন নিজেদের আয় থেকে ধর্মীয় নির্দেশনা মেনে কুরবানি দেন।

পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এর পূর্বে কখনো কেউ উদ্যোগ নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানী দেননি। গত তিনবছর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিজ উদ্যোগে এই কোরবানি দেয়া হচ্ছে। সভাপতির পরিবারের সদস্য হিসেবে তার এ কাজের জন্য আমরা গর্বিত। যে নেতার আদর্শকে বুকে ধারন করে তিনি রাজনীতি করছেন তার নামে কুরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা ভবিষ্যতে অন্য নেতাকর্মীরা অনুসরণ করবে বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, রক্ত মাংসে আওয়ামী লীগ মিশে আছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সুসংগঠিত করেছি। জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া পেয়েছি। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে আমাকে আসীন করায় কৃতজ্ঞ দল ও দলের সভাপতির প্রতি। সেই কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে চিন্তা করেই গত তিন বছর আমি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী দুইজনের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, সারাজীবন নিজের ও পরিবারের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আসছি কিন্তু যার জন্য দেশ স্বাধীন হলো, যার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে নেমে পড়েছি সেই মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর যার অনুপ্রেরনায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদে বসতে পেরেছি,যার সঠিক দিক-নির্দেশনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে গত তিন বছর কোরবানি দিয়ে নিজে একটু শান্তি পেতে চেষ্টা করেছি মাত্র।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স জানান,পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর সারা দেশের মানুষের জন্য একটি নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। দলের প্রতি ভালোবাসা ও নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস থাকলেই কেবল এমন কাজ করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নামে যে কুরবানী দেয়া হবে তা আল্লাহ যেন কবুল করেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: