আ’লীগের রাজনীতিতে জামাল ও সাব্বিরের বিকল্প নেই

ফরিদপুর ব্যুরো | ২০ জুন ২০২২, ০৭:৫২

সংগৃহীত

ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর সংসদ নির্বাচনী আসন (ফরিদপুর-২)।

এ আসনে বর্তমান সাংসদ হচ্ছে সংসদ উপনেতা সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী । তবে তিনি অসুস্থ থাকায় সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী পক্ষে প্রথম তার বড় পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু এলাকার জনগনের দেখভাল করতো । বড় পুত্রের পরে সাজেদা চৌধুরীর ছোট পুত্র শাহদাব আকবর শাহদাব লাবু চৌধুরী ৫ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করছে ।

 কিন্তু জনগণের সমস্যা লেগেই আছে। বড় সমস্যা হলো সালথায় দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগেই আছে , নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না কোন অবস্থাতেই।

তবে অনুসন্ধানে জানা যায় , দীর্ঘ দিন ধরে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অসুস্থ থাকার কারনে এ সমস্যাগুলো হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা জানান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বিকল্প নেই নগরকান্দা-সালথা উপজেলায়। এ এলাকার উন্নয়নের রূপকার তিনি । কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি সুস্থ থাকা অবস্থায় আমরা তার সাথে দেখা করলেই যে কোন কঠিন সমস্যা হউক না কেন সাথে সাথে সমাধন করে দিতেন।

এলাকাবাসীরা আরো বলেন , আমাদের নেত্রীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছিনা বলে আমরা এখন এতিম। রাজনৈতিক পরিবেশও ভাল না। এমন কিছু ব্যক্তিরা দায়িত্ব পেয়েছে তাদের কাছ থেকে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভবনা বেশী। এলাকার অনেকেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে মনের দুঃখে কষ্টে । তারা আবার রাজনীতি করবে যখন পরিবেশ ভাল হবে। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অনেক নেতা কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে জেল খেটেছে।

 নগরকান্দা- সালথার আঃলীগ পরিবারের উত্তরসুরীর সন্তানরা রয়েছে। তাদের ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে আঃলীগের আসন ধরে রাখা কঠিন হবে।

 সেই ক্ষেত্রে দরকার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান , বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু শহিদ মিয়ার পুত্র সাবেক ছাত্র নেতা, সাবেক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর এপিএস, বর্তমানে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও উপজেলা কেন্দ্র উপকমিটির সদস্য, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক এ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া ।

তিনি জন্ম লগ্ন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও পিতার অনুসারী হয়ে রাজনীতি করছে ।

অপরদিকে সালথা উপজেলার রূপকার, স্কুল -কলেজ , সালথা বাজারের জমি দাতা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দক্ষ হাতিয়ার ছিল এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রাজনীতি করা ব্যক্তি চৌধুরী ইউনুছ আলীর পুত্র সাবেক ছাত্র লীগ, যুবলীগ ও বর্তমানে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাবির আলীকে বেশী প্রয়োজন।

 এদের বাদ দিয়ে নগরকান্দা-সালথায় রাজনীতি অচল।জামাল হোসেন মিয়া ও চৌধুরী সাব্বির আলীর পিতার নগরকান্দা - সালথার আঃ লীগের রাজনীতিতে অবদান অনেক। সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক হাতকে শক্তিশালী করতে জামাল – সাব্বিরের বিকল্প নেই বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসীরা।

 এ ব্যতীত আরো কয়েকটি পরিবার রয়েছে। তাদের নাম উল্লেখ না করলেই নয় সেই পরিবারগুলি হচ্ছে নগরকান্দা সোবহান মিয়া, হামিদ মিয়া পরিবার, কাজী পরিবার। সালথায় রয়েছে চৌধুরী ও মোল্লা পরিবারসহ ১০/১২টি পরিবার। ঐ সকল পরিবারগুলি দুই উপজেলায় আছে বিধায় সব সময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী নিরাপদে নির্বাচিত হতে পারে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে উপরোক্ত ব্যক্তি ও পরিবারগুলি অনেক গুরুত্ব বহন করে। 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: